বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা:
মারপিট ও হত্যা চেষ্টার মামলায় বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যাবসায়ী আব্দুল মান্নান আকন্দকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বগুড়া সদর আমলী আদালতের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ শাহরিয়ার তারিক এ আদেশ দেন।

জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রেলওয়ের কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের মার্কেটের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করার সময় রেলওয়ের কর্মচারী রায়হান আলীকে মারধর করেন ওই মার্কেট নির্মাণের ঠিকাদার আব্দুল মান্নান। তিনি আসন্ন বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে হত্যা চেষ্টা ও মারপিটের অভিযোগে আহত রায়হানের বাবা রেল কর্মচারী হায়দার আলী সরকার বাদী হয়ে আব্দুল মান্নান আকন্দকে প্রধান আসামী করে ৫১ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে জামিন নিতে বুধবার বগুড়া সদর আমলী আদালতে হাজির হন আব্দুল মান্নান আকন্দ। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আব্দুল মান্নান আকন্দের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আব্দুল মান্নান আকন্দের পক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম মন্টু বলেন, আদালতে জামিন আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

কোর্ট ইন্সপেক্টর সুব্রত ব্যানার্জী জানান, আদালতের আদেশ পাওয়ার পরই আব্দুল মান্নান আকন্দকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এবিষয়ে মামলার বাদী হায়দার আলী জানান, রেলওয়ে মার্কেট নির্মাণে আব্দুল মান্নান আকন্দ একজন ঠিকাদার মাত্র। কিন্তু তিনি দোকান বরাদ্দ দেয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেয়া সহ নকশা বহির্ভূত ভাবে দোকানঘর নির্মাণ করে।

তিনি আরো জানান, নকশা অনুযায়ী সামনে গাড়ী পার্কিং এর জন্য জায়গা রাখা হয়। কিন্তু সেখানেও আব্দুল মান্নান প্রায় অর্ধ শত দোকান নির্মাণ করে। তার কারনেই মার্কেটের দোকান বরাদ্দ বিলম্বিত হচ্ছে এবং প্রায় ৩ বছর যাবত দোকান মালিকরা ঝুলে আছে।

একারনে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও রেল কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে পার্কিং এলাকার অবৈধ দোকান ভেঙ্গে দেয়। এ সময় আমার ছেলে রায়হান হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্য কর্মকর্তাদের সামনেই মারপিট করে আব্দুল মান্নান। ওই ঘটনায় আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা করি।