লকডাউন শিথিল হওয়ায় ধুনটের পশুর হাটে উপচেপড়া ভীড়
লকডাউন শিথিল হওয়ায় বগুড়ার ধুনট উপজেলার কান্তরনগর হাটে কোরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে উপচেপড়া ভীড় দেখা যায়।

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :

বাড়ছে করোনার প্রকোপ। বাড়ছে মৃত্যুর হারও। তারপরও জীবন জীবিকা যেন কিছুতেই অদৃশ্য মৃত্যু কুপ ‘করোনা ভাইরাসে’র কাছে হার মানতে চায় না। তাইতো মানুষ ছুটছে জীবন জীবকার সন্ধানে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপরোধে সপ্তাহব্যাপি সরকারী কঠোর লকডাইন শেষে মানুষ ফিরেছে স্বাভাবিক জীবনে।

তাই আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বেড়েছে মানুষের কর্ম ব্যস্ততাও। দীর্ঘদিন পর লকডাউন শিথিল হওয়ায় বগুড়ার ধুনট উপজেলার কোরবানীর পশুর হাটগুলো শেষমুহুর্তে জমে উঠেছে।

শুক্রবার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের হাঁসখালী কোরবানীর পশুর হাটে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাঁদা-গাঁদি করে কান্তনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শত শত কোরবানীর পশু নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। আর ক্রেতা সমাগমও ছিল বেশ লক্ষ্যনীয়। তবে অনেকের মুখেই ছিল না কোন মাস্ক।

ধুনটের কান্তনগর হাটে কথা হয় পশু বিক্রেতা আবু বক্কারের সঙ্গে। তিনি ঢাকার একটি ছোট প্রাইভেট কোম্পানী চাকরি করতেন। কিন্তু করোনায় চাকরি হারিয়ে পেশা পরিবর্তন করে নেমেছেন করোবানীর পশু ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসায়।
পশু বিক্রেতা আবু বক্কার বলেন, জীবিকার তাগিতে পশু ক্রয়-বিক্রয় করছি। কিন্তু বাজারে তেমন ক্রেতা না থাকায় এবং পশুর দামও অনেকটা কম হওয়ায় হশাতায় ভুগছেন তিনি।

হাটের আরেক পশু বিক্রেতা আফসার আলী বলেন, হাটে ৫টা গরু নিয়ে এসেছি। বাজার দর কম থাকায় ৪টি গরুই বিক্রি হয়ে গেছে। তবে এবারের হাটে কি দামে কোরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে জানাতে চাইলে আফসার আলী জানান, ৪০ হাজার থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকার মধ্যে ভাল মানের গরু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে।

তবে কোরবানীর পশুর খামারী হেউটনগর গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ৫টি গরু লালন পালন করেছি। সেই গরুগুলো আজ হাটে নিয়ে এসেছি। কিন্তু দাম না থাকায় এখন লোকশান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
হাটের কোরবানীর পশু ক্রেতা তারেক হাসান জানান, ৬২ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন। তবে দাম অনেকটা কম হওয়ায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন তিনি।

কান্তনগর হাটের ইজারাদার জিএম ফিরোজ লিটন বলেন, স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে হাটের প্রবেশদ্বারে হাত ধৌত করার বেসিন, হ্যান্ড সানিজাইটার এবং সেই সাথে ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জাল টাকার নোট সনাক্ত করার জন্য মেশিন এবং অসুস্থ্য ও গরু-ছাগলের সনাক্ত করার জন্য ভেটেনারী ডাক্তারও রয়েছে। তবে পশুর দাম কম হওয়ায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ক্রয়-বিক্রয় বেশ জমে উঠেছে।