সারিয়াকান্দিতে বর্ষার আগমনে নৌকা তৈরির হিড়িক

জাফরুল সাদিক, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) থেকে :

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বর্ষার আগমনে গ্রামে গ্রামে নৌকা তৈরীর হিড়িক পড়েছে। কারিগররা যেন দম ফেলানোর সময় পাচ্ছেনা। কেউ আবার পুরাতন নৌকায় আলকাতরা ও জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করে যোগাযোগের উপযোগী করে তুলছেন। বন্যায় অনেকেই শুধু নিজ পরিবারের লোকদের চলাচলের জন্য নৌকা তৈরী করছেন ।

স্থানীয়রা জানান, যমুনা ও বাঙ্গালী নদী বেষ্টিত সারিয়াকান্দি উপজেলা বর্ষাকালে বিশাল এলকা জুড়ে বন্যা দেখা দেয়। বন্যার পানিতে অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে মাছ শিকার করে থাকেন। পন্য পরিবহনে প্রধান বাহন হিসেবে নৌকার কদর রয়েছে। এক চর থেকে অন্য চরে চলাচল করা ছাড়াও খেয়া পারাপারের ক্ষেত্রে প্রধান বাহন হিসাবে কাজ করে নৌকা।

রকমভেদে এই নৌকা তৈরীতে খরচ পড়ে ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫/৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ইতিমধ্যে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এ জন্য নৌকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাবে। সে জন্য নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নদীর এলাকার মানুষজন। ১০ হাত থেকে ৭০ হাত পর্যন্ত লম্বা নৌকা তৈরী করছেন এ এলাকার বাসিন্দারা।

কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের ইন্দুর মারা চরের বাসিন্দা আলমগীর জনান, তিনি ২৪ হাত একটি নৌকা তৈরী করে নিচ্ছেন ৫দিন ধরে। তিনি ছাড়াও উপজেলার অনেকেই নতুন নৌকা তৈরী করছেন বর্ষায় নদী পারাপারের জন্য।

নৌকা তৈরীর সাথে জড়িত নান্দিয়ার পাড়া গ্রামের সাজু মিস্ত্রী বলেন, আমি ১০ হাত নৌকা তৈরী করে ১১ হাজার টাকায় বিক্রয় করি। গত বর্ষা মৌসুমে ৭০ থেকে ৭৫টি নৌকা তৈরী করেছিলাম। এবারও সেরকম নৌকা তৈরী ও মেরামত করার অর্ডার পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে এগুলো তৈরী করব। এজন্য আমাকে দিনরাত কাজ করতে হবে। ছোট নৌকা বেশির ভাগই যমুনা নদীতে মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করার জন্য নেয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, কৃষি পন্য আনা নেয়া করার জন্য বর্ষাকালে নৌকা ব্যবহার করা হয়। নৌকা ছাড়া নদী পাড়ের মানুষের চলাচল অসম্ভব। তাই এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে এখন পুরাতন নৌকা মেরামত ও নতুন নৌকা তৈরী করছেন।