স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের হাতেই খুন হয় কৃষক আব্দুল জলিল

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

স্ত্রীর ও পরকীয়া প্রেমিকের হাতেই খুন হয়েছে লালমনিরহাট পৌরসভার তিনদিঘিরপাড় এলাকার কৃষক আব্দুল জলিল। হত্যাকান্ডের তিনদিন পর এ রহস্য উদঘাটন করেছে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ।

বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে লালমনিরহাট জেলার এসপি (এ সার্কেল) মারুফা জামাল এতথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এই হত্যার সঙ্গে জড়িত স্ত্রী মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানীকে গ্রেফতার করে ১৬৪ দারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় ব্যবহৃত আলামতও সংগ্রহ করেছে পুলিশের একটি বিশেষ টিম।

এসপি মারুফা জামাল আরো জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন গভীর রাতে পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী কৌশলে জলিলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর জলিল বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে স্ত্রী মমিনা বেগম তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। তখন একসঙ্গেই ছিলেন পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী ও আব্দুল জলিল।

নিহত জলিলের বড়ভাই রশিদ জানান, মৃত্যুর তিনদিন পর কুলখানি অনুষ্ঠান শেষে মৃত জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগমকে তাদের সাথে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তিনি তাদের সাথে যেতে অস্বীকার করেন। এসময় মমিনা বেগম তাদেরকে জানায়, আমি এখানেই আবার বিয়ে করবো এবং এখানেই থাকবো। এ কথা শোনার পর জলিলের বড়ভাই রশিদের সন্দেহ হয়। সন্দেহের জেরে পরদিন গত ২৫ জুলাই তার ছোটভাইকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে এসপির বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামালের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। প্রথমে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সূত্র পাচ্ছিল না পুলিশ। পরে তাদের ফোন কল যাচাই করে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে।