আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো ধুনট পৌর এলাকার ইজতেমা
বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকার পূর্বভরনশাহী গ্রামে তিনদিনের ইজতেমায় শনিবার আখেরী মোনাজাতে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। -অনুসন্ধানবার্তা

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
আল্লাহর দরবারে গুনাহ মাফ, আত্মশুদ্ধি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকার তিনদিনের ইজতেমা সমাপ্ত হয়েছে।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী হযরত মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব। প্রায় ২৫ মিনিটের মোনাজাতের সময় হাজারো মুসল্লির কান্না ও আমিন, আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় ইজতেমা প্রাঙ্গন।

ঢাকার কাকরাইল মসজিদের তত্বাবধায়নে ও বগুড়া মার্কাস মসজিদের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার বাদ ফজর উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে ধুনট পৌর এলাকার পূর্বভরনশাহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ফসলী মাঠে বিশাল ময়দানে দ্বিতীয় তম এই ইজতেমা শুরু হয়। মুসল্লিগণ তিনদিন ইজতেমায় অবস্থান নিয়ে ফজর, যোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজ আদায়ের পর হেদায়েতের বয়ান শোনেন।

শনিবার বাদ ফজর ঈমান ও আমল সম্পর্কে বয়ান করেন বগুড়া মার্কাস মাসজিদের মুরব্বী মাওলানা আলাউদ্দিন সাহেব। এরপর বয়ান করেন সিরাজগঞ্জ মার্কাস মসজিদের মুরব্বী হযরত মাওলানা রেজাউল করিম সাহেব এবং হেদায়েতের বয়ান করেন হযরত মাওলানা জাকির সাহেব।

ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য ধুনট কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি খোরশেদ আলম জানান, ভিসা জটিলতার কারনে বিদেশী মসুল্লিগণের জামাত ইজতেমায় আসতে না পারলেও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ ইজতেমায় জামাত বন্দি হয়ে এসেছিলেন।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ইজতেমায় মুসল্লিগণের নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, এরআগে গত ৯,১০,১১ ডিসেম্বর ধুনটের সরুগ্রামে ৪৭তম ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তবে কেন্দ্রীয়ভাবেই ইজতেমার আয়োজক কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ায় ধুনটের ইজতেমাও গত ২ বছর ধরে দুই ভাগে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।