ধুনটে আদালতের আদেশ অমান্য করে নিয়োগ পরীক্ষা নিলেন মাদ্রাসা সুপার!

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আদালতের আদেশ অমান্য করে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে চিথুলিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার একরামুল হকের বিরুদ্ধে। আর এই নিয়োগ দিতে লেনদেন করা হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকাও।

জানা যায়, ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের চিথুলিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার একরামুল হকের বিরুদ্ধে দূর্নীতি এবং ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা নিয়ে বগুড়া সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে গত ২৩ জুন তারিখে ওই মাদ্রাসার সুপারের সকল কার্যক্রম এবং ম্যানেজিং কমিটি গঠনের কার্যক্রম সাময়িক ভাবে স্থগিত করে আগামী ৪ আগষ্ট শুনানীর তারিখ ধার্য করেন। কিন্তু মাদ্রাসার সুপার আদালতের আদেশ অমান্য করে গোপনে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একটি পদে নিয়োগের জন্য গত শনিবার নিয়োগ পরীক্ষা নেয়।

মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশের কপি যথাযথ ভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আদালতের আদেশ অমান্য করে অর্থের বিনিময়ে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছেন সুপার।

তিনি জানান, সুপার নিজেকে প্রতিবন্ধী হিসেবে বাবার পেনশনের টাকাও ভোগ করে আসছে। বে-সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিধিমালা অনুযায়ী শারিরীক ভাবে অক্ষম কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হতে পারবে না। তাই একজন প্রতিবন্ধী কিভাবে সুপার পদে বসে বিধি ভঙ্গ করছেন? তাই বিষয়টি আগামী ধার্য তারিখ ৪ আগষ্ট আদালতে সব বিষয় উপস্থাপন করে স্থায়ী স্থগিতাদেশ সহ আদালতের আদেশ অমান্যের জন্য বিচার চাওয়া হবে।

এদিকে আদালতের স্থগিতাদেশের কপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে মাদ্রাসার সুপার একরামুল হক বলেন, আদালতের কপিতে আমার এবং কমিটি স্থগিত লেখা আছে, কিন্তু নিয়োগের উপর কোন স্থগিতাদেশ নেই। তাই পরীক্ষা নিতে কোন বাধা নেই। তাই বোর্ড আমাদের পরীক্ষা নিতে বলেছে।

তবে এবিষয়ে বোর্ডের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মামলার বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে মামলার কপি আমাকে অফিসিয়ালি পেতে হবে। আমাকে পরীক্ষা নেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল, তাই আমি পরীক্ষা নিয়েছি।

এবিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হলে এটা অবশ্যই আদালত অবমাননা।