আদালতে রীট করে বগুড়ার নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন হিরো আলম

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলামের নিকট থেকে বুধবার দুপুরে একতারা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ফিরলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

এ সময় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদ হাসান, বগুড়া সদর নির্বাচন কর্মকর্তা এ এস এম জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুর ১২ টায় হিরো আলম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদ হাসানের নিকট জেলা নির্বাচন অফিসে তার রায়ের কপি জমা দেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম হিরো আলমকে অদম্য হিরো আলম বলে উল্লেখ করে বলেন, হিরো আলমের মানুষিক স্প্রিট দারুণ। তার জন্য শুভ কামনা রইল এবং সুষ্ঠ নির্বাচনের আশ্বাস দিলেন।

হিরো আলম জানান, সিংহ মার্কা প্রতীক বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন দলের নিবন্ধনকৃত ছিল তা জানতাম না। তাই মার্কা পরিবর্তন করে একতারা মার্কা নিলাম।

নির্বাচন সুষ্ঠ হলে তিনি জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী বলেও জানান। হিরো আলম বলেন, বিগত নির্বাচনে আমার লোক কম ছিল তাই হামলা করেছিল। এবার কর্মী বাহিনী অনেক বেশী। হামলা হলে পাল্টা হামলা করবো।
তবে তার মনোনয়নপত্র উচ্চ আদালতে বৈধ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নেয়ার নিয়মটি কালো আইন বলে অভিহিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, এই এক শতাংশ স্বাক্ষর বিষয়ে ভোটের পর উচ্চ আদালতে রীট করবো।

তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তার মনোনয়নপত্র একই কারণে বাতিল হলে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ফিরে পান হিরো আলম। এবারও একই ঘটনা ঘটলো।

হিরো আলমের প্রশ্ন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের বেধে দেয়া নিয়ম একটি প্রহসন, হয়রানীমূলক এবং সাংঘর্ষিক। কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করে হিরো আলম বলেন, এমপি, উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেলায় তা করা হয়না। আবার দলীয় প্রতীক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বেলায় প্রযোজ্য। মার্কাও দলীয় দেয়া হয়। কিন্তু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের কেন দলীয় প্রতীক দেয়া হয়না। একই নির্বাচনে দুই ধরনের নিয়ম কি সঠিক?

হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের নিয়মটি বাতিল দাবী করে বলেন, ধরুন কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারের এক শতাংশ স্বাক্ষর নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করলো। তার অর্থ ওই এক শতাংশ ভোটার তার পক্ষে। কিন্তু গননার পর দেখা গেল ওই এক শতাংশ ভোটার স্বাক্ষর দেয়ার পর তার চেয়ে কম ভোট পেয়েছে প্রার্থী। নির্বাচন কমিশন কি বিধান দিবেন এই বিষয়টি। ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশন ভোট করলেন এক শতাংশের। মেনেও নিলেন। ওই স্বাক্ষরের চেয়ে কম ভোট হওয়ায় কি ব্যবস্থা নিবেন? তার চেয়ে নির্বাচন কমিশন বলুক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যত স্বাক্ষর নিবে তা ভোট হিসেবে গন্য হবে।

হিরো আলম সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আমি সংসদে গিয়ে কি বলবো এবং কি করবো? যদি এইসব কালো নিয়মের কথা বলতে পারি, তাহলে জানবেন, সংসদে যাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে। আমি কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলে হিরো হতে চাই না।