ধুনটে ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগের তার কেটে দেওয়ায় শতাধিক গ্রাহকের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনটে বকেয়া বিল চাওয়ায় ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগের তার কেটে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন এক গ্রাহক। একারনে ধুনট উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শতাধিক গ্রাহকের ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর এতে ভোগান্তিতে পড়ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ সাধারণ গ্রাহকেরা।

এঘটনায় মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে ক্যাবল অপারেটর, ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান মুকুল বাদী হয়ে ধুনট সদর ইউনিয়নের বেলুকচি গ্রামের মৃত ইছমত প্রামানিকের ছেলে আব্দুল কাদের (৪৫) ও তার ছেলে নয়ন মিয়ার (২২) বিরুদ্ধে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, ধুনট পৌর এলাকার চরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে নুরুজ্জামান মুকুল ধুনট চরপাড়া, মাটিকোড়া, বেলকুচি ও চৌকিবাড়ী সহ বিভিন্ন গ্রামে ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগের ব্যবসা করে আসছেন। তার থেকে ডিস লাইনের সংযোগ নেন বেলকুচি গ্রামের আব্দুল কাদের।

কিন্তু তিনি গত ৭ মাস ধরে ডিস সংযোগের টাকা বকেয়া রাখায় তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ক্যাবল অপারেটর কর্তৃপক্ষ। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে আব্দুল কাদের ও তার ছেলে নয়ন মিয়া তার বাড়ির সামনের দিয়ে টাঙ্গানো ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগের তার কেটে আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।

একারনের ধুনটের বেলকুচি, পাইকপাড়া চৌকিবাড়ী ও দিঘলকান্দি সহ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক গ্রাহকের ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আর এতে ওই সকল গ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তিতে পড়েছে।

এ বিষয়ে ক্যাবল অপারেটর ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান মুকুল জানান, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল কাদের ও তার ছেলে নয়ন তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে তারা বাবা-ছেলে মিলে ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগের তার কেটে দেয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে তাকে হুমকি ও মারধরেরও চেষ্টা করা হয়। ব্যবসায়ী মুকুল বলেন, ওই গ্রামে পুনরায় সংযোগ চালু করতে চাইলে আমার কাছে চাঁদাও দাবি করে তারা। তাই এব্যাপারে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি এবং অন্য দিক দিয়ে তার টাঙ্গিয়ে সংযোগ মেরামতের চেষ্টা করছি।

তবে এব্যাপারে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করতে একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।