কাজিপুরের পর্যটন স্পটগুলোতে এখনো ভিড়

আবু তৈয়ব সুজয়, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ঈদের আনন্দ যেন শেষ হচ্ছে না। সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে এখনো প্রচণ্ড ভিড়। পর্যটকের চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা। বিশেষ করে যমুনা নদীর তীরে কাজিপুর মেঘাই পর্যটন কেন্দ্র, মাইজবাড়ী এলাকার শহীদ এম মনসুর আলী ইকো পার্ক, বাঐখোলা এলাকর জয় বাঁধ ও নাটুয়ারপাড়া ভাঙ্গন রক্ষা বাঁধে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষনীয়।

ভ্রমণ প্রেমীদের প্রথম পছন্দ কাজিপুর পর্যটন কেন্দ্র ও শহীদ এম মনসুর আলী ইকো পার্ক। যার আকার, আয়তন ও সৌন্দর্য দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক খরচেই দেখার সুযোগ পাচ্ছেন যমুনা নদীর দৃশ্য। এ যেন এক ঢিলে দুই পাখি শিকার। বিভিন্ন এলাকা জুড়েই পরিচিতি পেয়েছে কাজিপুর পর্যটন কেন্দ্র ও শহীদ এম মনসুর আলী ইকো পার্ক।

শহীদ এম মনসুর আলী ইকো পার্ক ও কাজিপুর পর্যটনের জন্য পরিচিতি পেতে থাকে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। এই পার্ক দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটক ছুটে আসে। পর্যটন কেন্দ্র ও ইকো পার্কে থাকে স্পিটবোট ও নৌকার সারি। সেসব স্পিটবোট, নৌকায় পর্যটকরা ঘুরে বেড়াতে থাকেন সমগ্র যমুনা নদী।

সরেজমিন দেখা যায়, ঈদের ছুটিতে মানুষের ঢল নেমেছে। পর্যটকদের বাস রাখার জায়গা হচ্ছে না নির্ধারিত পার্কিংয়ে। বেড়েছে স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানপাট। সেসব দোকানে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। তবে পর্যটকদের অভিযোগ- সুযোগ বুঝে সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তবে বাড়তি দামেও ভাটা পড়েনি পণ্যের কেনাকাটায়।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শিক্ষার্থী রবিউল ও ইষিতা বলেন, এমনিতে ছুটি পাওয়া যায় না। ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে এলাম। বাস্তবে এটা আরো বেশি সুন্দর। তবে আমরা স্পিট বোটের জন্য আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করছি। বোট পাচ্ছি না। বোট তীরে আসামাত্রই মানুষ যেন ঝাঁপিয়ে পড়ছে। দরদামও করছে না। মোটরবাইক, বাস, মাইক্রো বাসসহ নানা ধরনের গাড়ি রিজার্ভ করে ভ্রমণপিয়াসীরা ঘুরতে এসছেন।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার বলেন, এবারের ঈদে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছুটে আসেন কাজিপুরে পর্যটন স্পটগুলোতে। আর এসব পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজিপুর থানা পুলিশ ও নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে।