নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা:
কাজিপুর উপজেলার পুলিশকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় বগুড়ার ধুনট উপজেলার এক ব্যবসায়ী ১৫ দিন ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। কোন অপরাধ না করলেও কাজিপুর থানা পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকে ধুনট বাজার থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে চুরির মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।
তবে এক থানা থেকে অন্য কোন থানার আসামী গ্রেপ্তার করতে হলে সংশ্লিষ্ট থানার অনুমতি নেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানেননি ওই পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।
জানাগেছে, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশনের ক্যাবল চুরির ঘটনা ঘটে। ওই মামলায় গত ২৫ জুলাই কাজিপুর থানা পুলিশ এজাহারভুক্ত ৪ জন ব্যক্তিকে চুরি হওয়া মালামালসহ গ্রেপ্তার করেন।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে চুরি হওয়ায় মালামালের কিছু অংশ বিক্রি করেন ধুনট বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছে।
তখন এই সুযোগটাই কাজে লাগায় কাজিপুর থানা পুলিশের এসআই নূরে আলম সিদ্দিকী (বিপি-৮৬১৩১৪৮৬০৭) ও ধুনট থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম।
গত ২৯ জুলাই কাজিপুর থানার এসআই নূরে আলম ও ধুনট থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম ধুনট বাজারের তরফদার ভাঙরী দোকানের মালিক শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাজিপুর থানায় থানায় নিয়ে যায়।
সেখানে ওই ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন কাজিপুর থানার এসআই নূরে আলম সিদ্দিকী। কিন্তু অপরাধ না করায় টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে চুরির মামলায় ফঁসিয়ে দেন।
অনুসন্ধানে জানাযায়, চুরির মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জেল হাজতে পাঠানোর পর পরই চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। একারনেই ধুনটের ব্যাবসায়ী শাহ আলমের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তবে শুধু গ্রেপ্তার বাণিজ্যই নয়, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ কর্তাও এই পুলিশ অফিসার নূরে আলম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজিপুর থানার এসআই নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, চুরির মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি অনুযায়ি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এবিষয়ে কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল দত্ত জানান, ওই মামলাটি আরো তদন্ত করা হচ্ছে।
এব্যাপারে ধুনট থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, এই উপজেলা থেকে কোন আসামী গ্রেপ্তার করা হলে তা সংশ্লিষ্ট থানায় জানানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ওই বিষয়টি আমার জানা নেই।