কাজিপুরের যমুনায় জেগে উঠেছে অসংখ্য চর ও ডুবোচর : ভোগান্তিতে চালক ও নৌ-যাত্রীরা

আবু তৈয়ব সজয়, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কাজিপুর উপজেলার যমুনার বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর ও ডুবোচর। বর্ষার ভরা যৌবনে যমুনার নাব্যতা হ্রাস পেয়ে নদীর বুকে জেগে ওঠা এসব চর ও ডুবোচরের কারণে নৌ চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে নৌ যাত্রীরা।

আষাঢ় ও শ্রাবণের বর্ষাকালীন সময়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এই যমুনা ফুলে ফেঁপে রাক্ষুসী রুপ ধারণ করে। আবার শুষ্ক মৌসুমে এসে যমুনা মরা নদীতে পরিণত হয়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কাজিপুর উপজেলার মেঘাই-নাটুয়ারপাড়া খেয়াঘাট ও খুন্দবান্দি টু তেকানি খেয়াঘাটে নৌ পথে অসংখ্য চর ও ডুবোচর জেগে উঠেছে। ভরা বর্ষায় নদীতে নৌকা যোগে যেখানে যাত্রী পারাপারে সময় লাগতো ৩০-৪৫ মিনিট সেখানে নদীর নাব্যতা হ্রাসের কারণে সময় লাগছে দেড় ঘন্টার মতো। আবার নদীর বুকে কোন কোন ডুবোচরে গিয়ে থেমে যাচ্ছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা। ফলে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ নৌ যাত্রী ও চালকদেরকে।

নদীর নাব্যতা হ্রাসের সাথে সাথে জেলেরা তাঁদের আদি পেশা ছেড়ে ছুটছেন নতুন কর্মসংস্থানে। নদীতে পানি না থাকায় কাঙ্খিত মাত্রায় মৎস্য শিকারে ব্যর্থ হয়েই খুঁজতে হচ্ছে ভিন্ন পথ।

এ বিষয়ে হারুন নামের এক নৌ চালক বলেন, বর্ষাকালে নৌকা চালাইয়্যা তো আরামই পাই, কিন্তু শুকনা মৌসুমে ম্যালা দূর দিয়া ঘুইরা যাইতে সময় লাগে বেশী।, তেল লাগে বেশী, লাভ কম হয়। এছাড়াও আবার নদীর মধ্যে গিয়া নৌকা ঠেইক্যা গেলে নিজেরেই পানিত নাইম্যা ঠেলতে হয়।

তবে নদীর বুকে জেগে ওঠা এসব ডুবোচরের কারণে ভরা বর্ষায় নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। পরিকল্পিত ভাবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ফেরাতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে নদীপথের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।