শাজাহান আলী, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
করোনাকালেও দিনের বেলায় চলছিলো বিয়ের প্রস্তুতি। বর বসার মঞ্চসহ চারদিকে প্যান্ডেল তৈরির কাজও প্রায় শেষ। বাড়ির ভিতরে চলছিলো খাবার তৈরির আয়োজন।
সবাই অপেক্ষায় ছিলেন বরের জন্য। দুপুর পরই বরযাত্রীদের আসার কথা। কিন্তু দুপুরের আগেই কনের বাড়িতে বর নয়; হাজির হলেন ইউএনও। আর তাতেই বিয়ের সব আয়োজন ভেস্তে যায়। জরিমানাও গুনতে হয় কনে পক্ষকে।
এমন ঘটনাই ঘটেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের হরিনাথপুর উত্তরপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, কাজিপুর উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের আল আমিন মিয়ার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিলো পাশের ধুনট উপজেলায়। বরের বাড়িও কনের বাড়ি থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে।
শুক্রবার (৬আগস্ট) দুপুরে কনের বাড়িতে টহলরত সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যদের সাথে নিয়ে উপস্থিত হন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী।
এসময় ইউএনওকে নানাভাবে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে কনে পক্ষের লোকজন। কিন্ত প্রস্তুতির ধরণ দেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়ের দাদা ফজলুল হক স্বীকার করেন তার নাতনির বিয়ের আয়োজন চলছিলো। এরপর ইউএনও সেই বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন এবং কনেপক্ষকে পনের হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, করোনাকালে জনসমাগম করা এবং বাল্যবিয়ে দুটোই আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সংবাদ পেয়ে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে কনে পক্ষকে অর্থদন্ড করা হয়েছে এবং বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
