কাজিপুরে ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আবু তৈয়ব সুজয়, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
কাজিপুর উপজেলার কুনকুনিয়া গ্রামের কলেজ পড়ুয়া এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সত্যকে আড়াল করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করছেন মামলার বাদী ওই কলেজ ছাত্রীর মা।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নিজ বাড়িতে পরিবারের সকল সদস্যের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্যে ওই কলেজ ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ের (১৮) এর সাথে মুঠোফোন পরিচয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছিল কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের কালিকাপুর বান্দরপাড়া গ্রামের মন্টু মিয়া ওরফে মুঞ্জর ছেলে সেনা সদস্য পিয়াস উদ্দিন।

সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়ের সাথে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে পিয়াস। একপর্যায়ে আমার মেয়ে তাকে বিয়ের জন্য বললে গত ৩০ মার্চ পিয়াস তার নিজ বাড়িতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে পুনরায় ইচ্ছের বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে মিলিত হয়। পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপর আমার মেয়েকে গভীর রাতে পিয়াসের বাড়ির লোকজন জোরপূর্বক হাতপা ও মুখ বেঁধে প্রথমে মোটরসাইকেল ও পরে ইঞ্জিল চালিত নৌকায় তুলে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে কাজিপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যরা আমার মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

এব্যাপারে গত ৭ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্প্রতি এসকল সত্য ঘটনাকে আড়াল করে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে পিয়াসের পরিবার সরকারি নিবন্ধন বিহীন চ্যানেল সহ কয়েকটি আইপি টিভিতে অভিযুক্ত পিয়াস উদ্দিন নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করছিল মর্মে যে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে তা সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

কেননা ঘটনা চলাকালীন সময়ে পিয়াস উদ্দিন ছুটিতে কাজিপুরে অবস্থান করছিল এবিষয়ে পিয়াসের কর্মস্থলে খোঁজ নিলেই সত্যতা মিলবে। একইসাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনা চলাকালীন সময়ে পিয়াসের অবস্থান ও এসকল বিষয়ে অবগত রয়েছেন। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রার্থণা করেন।