বগুড়ার শেরপুরে খোলা আকাশের নীচে ৮ সদস্যের পরিবার

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শালফা গ্রামে ৫৬ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার পরও বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টার প্রাইজের প্রকৌশলী মো. শাহাজালালের বিরুদ্ধে।

ধুনট-শেরপুর সড়ক প্রশস্তকরণের উচ্ছেদ অভিযানে বাড়ি ভেঙ্গে ফেলায় নুর ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তার পরিবারের ৮ সদস্য, গরু, ভেড়া ও হাঁস মুরগী নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই ঘটনা সাংবাদিকদের বলায় ভুক্তভোগির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছে ওই প্রকৌশলী।

জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খনপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে নুর ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে শেরপুর-ধুনট সড়কের পাশে কিছু জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছিল।

কিন্তু সম্প্রতি ওই সড়কটি প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হওয়ায় তাদের বাড়ি সড়কের জায়গায় পড়ে যায়। তারা বাড়ি অন্যত্র সরাতে চাইলে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজের প্রকৌশলী মো. শাহ জালাল সড়কের নিচ থেকে মাটি কেটে দিয়ে সেখানেই বাড়ি করে থাকার জন্য বলেন। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে ৫৬ হাজার টাকাও গ্রহন করেন তিনি।

গত ১৪ ডিসেম্বর সড়কের দুপাশ থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে নুর ইসলামের বাড়ি ভেঙ্গে দেয় সড়ক বিভাগ। এতে এই কনকনে শীতে নুর ইসলাম, তার বাবা, মা, ভাই, ভাবি, ছেলে, মেয়ে, ভাতিজা, ভাতিজী সহ গৃহপালিত পশু নিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি নুর ইসলাম বলেন, মোজাহার এন্টারপ্রাইজের প্রকৌশলী শাহজালাল ৫৬ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি করার জন্য মাটি কেটে দিয়েছেন। গরু বিক্রি করে আমি তাকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু এখন আবার তারাই আমার বাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে। যদি আমার বাড়ি ভেঙ্গেই দিবে তাহলে এতোগুলো টাকা নিলো কেন? এখন পরিবারের লোকজন ও এতোগুলো গরু নিয়ে আমি কোথায় যাব। টাকা নেয়ার কথাটি সাংবাদিকদের কাছে বলার জন্য তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার হুমকিও দিচ্ছেন।

তবে এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহজালাল বলেন, আমি রাস্তার জায়গায় মাটি কেটেছি। তবে বাড়ি করার জন্য কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি।

এ প্রসঙ্গে মোজাহার এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ম্যনেজার মো. এমদাদুল বলেন, সরকারি জায়গায় বাড়ি করে দেয়ার জন্য যদি কেউ টাকা গ্রহন করে তাহলে সেটি অন্যায় করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।