কাজিপুরে চুরির অপবাদে মারপিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা, কাজিপুর:
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে মোবাইল চুরির অপবাদে সোহেল রানা (২৩) নামের এক মুদি দোকানীকে মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহত সোহেল রানা উপজেলার ঢেকুরিয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় গত ৭ জুন তিন জনকে আসামী করে সোহেলের বড় ভাই সবুজ মিয়া বাদী হয়ে কাজীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আসামীরা হলেন, কাজিপুর উপজেলার বিলচতল গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৪) ও মোস্তফা (৩৫) এবং অন্যজন বগুড়ার ধুনট উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ইউসুফ আলী (২৬)।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক মাস আগে সোহেল রানা রাতে ঔষধ নিতে যান মোস্তফার ঔষধের দোকানে। দোকানীকে না পেয়ে দোকানের দ্বিতীয় তলার ছাদে গিয়ে দেখেন আব্দুর রাজ্জাক ও মোস্তফা সহ আরও কয়েকজন পিকনিক করছেন। ওই সময় সোহেল রানা মোস্তফার কাছে ঔষধ চাইলে তিনি তাদের সাথে খাওয়া দাওয়া করতে বলেন। খাওয়া শেষে ঔষধ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ইউসুফ আলী বলেন তার মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি সোহেলকে দায়ী করে বলেন, তুই আমার মোবাইল নিয়েছিস। তবে ওই সময় সোহেল রানার নিকট কোন মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি।

এরপর গত ৬ জুন সন্ধ্যায় সোহেল রানা মোস্তফার দোকানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। পূর্বের জের ধরে তাকে আসামীরা টেনেহেচড়ে তাদের দোকানের ছাদে তুলে মেইন গেট তালা দেয়। উপরে তুলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহা যুক্ত কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। এতে সোহেল রানা গুরুতর আহত হন।

আহত সোহেলের ভাই সবুজ মিয়া বলেন, আমার ভাইকে উদ্ধার করার জন্য ৯৯৯ এ কল করি। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে এবং মোস্তফা ও ইউসুফ আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আর আমার ভাইকে চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভতি করা হয়েছে।

ঢেকুরিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য সুলতান মিয়া বলেন, মোবাইল চুরির সালিশে কোন প্রমাণ দিতে পারেনি তারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আছাদুল ইসলাম বলেন, দুই জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর জনকে আটকের চেষ্টা চলছে।