শিবগঞ্জের হাসপাতালে করোনার টিকা নেয়ার সময় ছিনতাই : ৫ নারী গ্রেফতার

সাজু মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শিবগঞ্জ সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নেয়ার সময় মরিয়র বেগম নামে (৫০) এক মহিলার সোনার চেইন ছিনতাই করে পালানোর সময় ৫ নারীকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।

এঘটনায় আটককৃত ওই ছিনতাইকারী নারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতালে) চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন, ব্রক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার দলমডল গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫), একই এলাকার কাওসার আলীর স্ত্রী ফুলতারা বেগম (২৫), শামীমের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২১), হবিগঞ্জ জেলা সদরের উচাইল গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী শাহানা বেগম (২৫) এবং একই জেলার চুনারুঘাট উপজেলার জোয়ার লালচাঁদ গ্রামের বাশির উদ্দিনের স্ত্রী জোসনা বেগম (২৫)।

পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের হুজ্জাতুল ইসলামের স্ত্রী বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম (৫০) করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের জন্য শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।

এরপর তিনি টিকাদান কেন্দ্রের লাইনে দাঁড়ান। এমন সময় ছিনতাইকারী নাজমা বেগসসহ তার চার সহযোগি মরিয়ম বেগমের চারপাশে গা ঘেঁষে দাঁড়ায়। মরিয়ম বেগম তাদের সরে দাঁড়াতে বললেও তারা না শুনে গাঁ ঘেঁষেই দাঁড়িয়ে থাকেন। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় এক সময় নাজমা বেগম বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের পিছনে দাঁড়িয়ে বোরখার ভেতরে হাত দিয়ে গলায় থাকা ৩০ হাজার টাকা মূল্যের আটা আনা ওজনের সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে থাকে।

এই সময় বৃদ্ধা চিৎকার দিলে উপস্থিত স্থানীয় জনতা ছিনতাইকারী নাজমাকে হাতেনাতে আটক করে। নাজমার আটক হওয়া দেখে তার অন্য সঙ্গীরা পালাতে গেলে স্থানীয়রা তাদেরকেও আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মরিয়ম বেগমের ছেলে হাসান আলী বাদী হয়ে আটককৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চুরি যাওয়া চেইন উদ্ধার করে ওই বৃদ্ধাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওসি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ওই মহিলাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হলেও তারা মোকামতলায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তারা বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন স্থানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে জনবহুল এলাকায় গিয়ে পকেট কাটা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল চুরিসহ নানা ধরনের প্রতারণামূলক কাজ করে আসছিল।