ধুনটে সরকারি রাস্তাসহ মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের জমি দখল করে পুকুর খননের অভিযোগ
বগুড়ার ধুনট উপজেলার বাকশাপাড়া-নাটাবাড়ী-হরিনাথপুর গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা সহ ১১ বিঘা বিঘা ফসলী জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। -অনুসন্ধানবার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরকারি রাস্তাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা এক ভাইয়ের জমি দখল করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের নাটাবাড়ি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান মুন্টু, জহুরুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, মোস্তাফিজার রহমান ও ফরিদ উদ্দিন সহ ৭৫জন গ্রামবাসী সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, ধুনট উপজেলার নাটাবাড়ী গ্রামের মৃত মোবারক আলী মন্ডলের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামানের ২৯ শতক ক্রয়কৃত জমি রয়েছে। তার জমির সঙ্গেই একদাগে আরো ৫ ভাইয়ের মোট ১১ বিঘা ফসলী জমি রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান মুন্টুর ভাই হিটনারুজ্জামান হাকিম, হোসেন সহিদ, কামরুজ্জামান রঞ্জু ও বদিউজ্জামান তার ২৯ শতক জমি দখল করে মোট ১১ বিঘা ফসলী জমিতে পুকুর খনন করে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন।

তবে তারা শুধু ফসলী জমি কেটেই পুকুর খনন করছেন না, এমনকি সরকারি রাস্তা কেটেও পকুর খনন করে মাটি বিক্রি করছেন। এদিকে সরকারি রাস্তা সহ পুকুর খনন করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে গ্রামবাসীও। বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী সরকারি রাস্তা কেটে পুকুর খনন করার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে তারা বিক্ষোভ করেন। তারা এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নাটাবাড়ী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান মুন্টু বলেন, আমার ভাইয়েরা জোরপূর্বক জমি দখল করে পুকুর খনন করছেন। তাই এবিষয়ে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

এবিষয়ে গ্রামবাসী মোস্তাফিজার রাহমান বলেন, গোাসাইবাড়ী ইউনিয়নের বাকশাপাড়া ও হনিরাথপুর পাকা রাস্তা থেকে নাটাবাড়ী যাওয়ার একমাত্র এই রাস্তাটি সহ ফসলী জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করায় চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একারনে বাকশাপাড়া, হরিনাথপুর ও নাটাবাড়ি সহ আরো কয়েকটি গ্রামের হাজারো লোকজনকে প্রতিদিন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

তবে এব্যাপারে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান রঞ্জু দাবি করে বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই নাকি, তিনি সরকারি রাস্তা সহ ফসলী জমিতে পুকুর খনন করছেন। এছাড়া তিনি তার ভাইয়ের জমি দখল করেননি বলেও দাবি করেন।

তবে এ ব্যাপারে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, সরকারি রাস্তা সহ ফসলী জমিতে পুকুর খননের কোন নিয়ম নেই। তাই গ্রামবাসীর অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।