এক বিঘাতেই লাখোপতি ধুনটের টমেটো চাষিরা
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর টমেটোর ভালো ফলন হয়েছে। বগুড়ার ধুনট উপজেলার পারধুনট গ্রামের এক কৃষক তার টমেটো ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। -অনুসন্ধানবার্তা

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
মাত্র ১৬ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেছেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার পারধুনট গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনে হাঁসি ফুটেছে তার মুখে। নিজের শ্রম ও ২০ হাজার টাকা খরচ করে কৃষক শফিকুল ইসলাম লাখ টাকার টমেটো বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন।

তবে শুধু শফিকুল ইসলামই নয়, একই গ্রামের জহুরুল ইসলামও এক বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। জহুরুল ইসলাম তার জমি থেকে দুই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

তাদের জমিতে এখন কাঁচা-পাকা টমেটো ও ফুলে ভরে রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে তারা টমেটো বিক্রিও শুরু করেছেন। পাইকারী ব্যবসায়ীরা তাদের জমি থেকেই টমেটো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তাদের কোন বাড়তি ভোগান্তিতেও পড়তে হচ্ছে না। গত দুই সপ্তাহ আগে প্রতি মন টমেটো ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকা বিক্রি হলেও তা বর্তমান বাজার দরে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার দর এরকম থাকলে লাখোপতি বনে যাবেন এই উপজেলার টমেটো চাষিরা।

কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, ২০ হাজার খরচ করে ১৬ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। এজন্য তিনি ও তার ছেলেকে শ্রম দিতে হচ্ছে। এপর্যন্ত তিনি ৫ হাজার টাকার মতো টমেটো বিক্রি করেছেন। বাজার দর স্বাভাবিক থাকলে প্রায় এক লাখ টাকার মতো টমেটো বিক্রি করতে পারবেন।

শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, নিজেরা শ্রম না দিলে ১৬ শতক জমিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হতো। এছাড়া খোলা বাজারে সার না থাকায় ডিলারদের কাছ থেকে সার কিনতে অনেকটাই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

পারধুনট গ্রামের টমেটো চাষি জহুরুল ইসলাম বলেন, এক বিঘা জমিতে ৭০ হাজার টাকা খরচ করেছি। গত দ্ইু সপ্তাহ আগে ২৫০০ টাকা মন দরে ১০ মন টমেটো বিক্রি করলেও বর্তমানে বাজার দর কমে এসেছে। তারপরও যদি বাজার দর এভাবে স্বভাবিক থাকে তাহলে প্রায় ২ লাখ টাকার মতো টমেটো বিক্রি করা যাবে। গত বছরও এই জমি থেকে প্রায় ২ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছি।

আরো পড়ুন- বগুড়ার শেরপুরে ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

চৌকিবাড়ী গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন জানান, টমেটো চাষে এবছর তেমন কোন রোগবালাই ছিল না। নিয়মিত পরিচর্চা করলে লাভের মুখ দেখতে পারব বলে আশা করছি।

ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, এই উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৫০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। তাই গত বছরের মতো এবারও কৃষকেরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন।

তিনি আরো জানান, বাজারে সারের কোন সংকট নেই। এবিষয়ে কৃষি অফিস সব সময় পর্যবেক্ষণ করছে।