টিকটক মডেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

অনুসন্ধানবার্তা ডেস্ক :
ঝিনাইদহে ২২ বছরের স্বামী পরিত্যাক্ত এক নারীকে মাদক সেবন করিয়ে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে আশিকুর রহমান রোমেল নামে এক টিকটক মডেলের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ওই ধর্ষিতার মা ঝিনাইদহ সদর থানায় টিকটক মডেল রোমেল সহ দুই জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

নির্যাতিতা ওই ধর্ষিতা নারীর বাড়ি পৌর এলাকার কাঞ্চনপুর মধ্যপাড়া গ্রামে। বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিকেলে এক প্রবাসীর স্ত্রী তার বান্ধবী সুমি তাকে বিউটি পার্লারে নিয়ে যাওয়ার নাম করে শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পেছনে মিলন নামে এক যুবকের বাসায় নিয়ে যায়।

সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল আদর্শপাড়া এলাকার তৌফিকুর রহমান টুটুলের ছেলে আশিকুর রহমান রোমেল নামের এক টিকটক মডেল। ওই বাসায় নেওয়ার পর তাকে জোরপূর্বক ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করায় মিলন ও রোমেল। এরপর তাকে রাতভর ধর্ষণ করে তারা। ওই সময় বান্ধবী সুমিও একই ঘরে উপস্থিত ছিল। তবে সুমিকে ধর্ষণ করেছে কিনা তা নির্যাতিতা ওই নারী বলতে পারেননি। সুমির স্বামী প্রবাসী হওয়ায় সে বেপরোয়া জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ধর্ষিতার মা জানান, চক্রটি ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তার মেয়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বুধবার সকালে মেয়ে বাড়িতে আসলে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

আমার স্বামী বেঁচে নেই। মেয়েকে শহরের পবহাটী গ্রামে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিচ্ছেদ হওয়ার পর এখন আমার কাছেই থাকে। এঘটনার পর অসুস্থ মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

ঝিনাইদহর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাসার জানান, গোটা চক্রটি অন্ধকার জগতে চলাফেরায় অভ্যস্ত। এর আগে সুমি নামের ওই মেয়েটি প্রদ্যুৎ নামে এক যুবকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হয়।

এছাড়া ধর্ষক আশিকুর রহমান রোমেলও গত ৩ জুন শহরের মহিলা কলেজ পাড়ার একটি বাসা থেকে নারী টিকটকার তুলির সাথে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।

তিনি আরও জানান, মিলন নামের ওই যুবক শহরের শামীমা ক্লিনিকের সামনে থেকে ইয়াবাসহ আটক হয়। ওই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ২৩ মাসের জেল দেয়। এ সংবাদ জানার পর তার মুক্তিযোদ্ধা পিতা হৃদরোগে আক্রান্ত মারা যান। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মিলন আবার অন্ধকার জগতে পা রাখে।

ঝিনাইদ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক জানান, সংবাদ পেয়ে থানার এসআই ব্রজ নাথ কুমারকে হাসপাতালে ওই ধর্ষিতার কাছে পাঠানো হয়। এরপর তার বক্তব্য শুনে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।