ঠাকুরগাঁওয়ের টেপরি মাতাজি পাচ্ছেন লালন সম্মাননা স্মারক

আপেল মাহমুদ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
লোক সঙ্গীত বাংলাদেশের সঙ্গীতের একটি অন্যতম ধারা। এটি মূলত বাংলার নিজস্ব সঙ্গীত। গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনের কথা, সুখ দুঃখের কথা ফুটে ওঠে এই সঙ্গীতে।

বাংলা লোকসঙ্গীত বৈচিত্র্যময়। পল্লীর শ্রমজীবী জনমানসের সংস্কারগত চিন্তা-ভাবনা, বারোমাসে তেরো পার্বণের উৎসব-অনুষ্ঠান, জগৎ ও জীবন সম্পর্কে উদ্বেগ, বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশ, নদী ও নৌকার রূপকাশ্রয়ী চিন্তা-চেতনা, দারিদ্র্য, সমাজের অন্যায়-অবিচার, নিত্য ব্যবহিত জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য প্রভৃতি বিষয়গত বোধ ও অলৌকিক বিশ্বাসকে অবলম্বন করে গ্রামবাংলার মানুষ এ গান বেঁধেছে।

তবে বাংলা লোকসঙ্গীতে লোকসংস্কারগত আচার-অনুষ্ঠানই প্রাধান্য পেয়েছে। সেই সঙ্গে নদী ও নৌকাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে জগৎ ও জীবনের রূপকাশ্রয়ী অধ্যাত্মলোকের মরমি গান।

অনেকে তাই লোকসঙ্গী গানের শিল্পীদের সাধক বলেও সম্মানিত করেন। তেমনি একজন টেপরি মাতাজি খ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী শুরু বালা রায়।

ঠাকুরগাঁওয়ের এই শিল্পীর গান খুব জনপ্রিয়। তিনি মূলত দেশের লোকসঙ্গীত চর্চাকেই নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। তার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন কোটি মানুষের ভালোবাসা। পেয়েছেন নানা রকম পুরস্কার ও স্বীকৃতি। টেপরি মাতাজি ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০১৫’ প্রাপ্ত গুণীজন।

এবার এই শিল্পীকে লালন স্মারক সম্মাননা প্রদান করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

আগামী ১৬ অক্টোবর মহাত্মা লালন সাঁইজির ১৩১ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত লালন স্মরণোৎসব অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে।