ধুনটের ব্যবসায়ীর দেড় কোটি টাকার আলু চুরি করে বিক্রিয় করেছেন হিমাগার মালিক

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা :

বগুড়ার ধুনট উপজেলার এক ব্যবসায়ীর প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের আলু চুরি করে বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে শাজাহানপুরের এক হিমাগার মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি গ্রামের মৃত আজহার আলী সরকারের ছেলে আলহাজ্ব সোহরাব আলী সরকার গত ফেব্রুয়ারি মাসে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বগুড়া-নাটোর রোড সংলগ্ন গোহাইল ইউনিয়নের জামাদার পুকুর এলাকায় নিউ আফরিন কোল্ড স্টোরেজে ২৩ হাজার ৪৬৫ বস্তা আলু এবং খরনা ইউনিয়নের টেংগামাগুর ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে ২০ হাজার ৭২৫ বস্তা সহ মোট ৪৪ হাজার ১৯০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেন। প্রত্যেক বস্তায় আলু ছিল ৭১ কেজি করে।

গত ঈদুল আজহার আগে ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন আলু বিক্রয় করার জন্য ওই হিমাগার দুটিতে খোঁজ নেন। সেই সময় তিনি আলু বিক্রি করার জন্য বস্তার হিসাব চাইলে জানতে পারেন তার নির্দিষ্ট মজুদের থেকে ৯ হাজার ১৫৮ বস্তার কোন হিসাব মিলছে না। এতে তিনি হতাশগ্রস্থ হয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগযোগ করলে কর্তৃপক্ষ তাকে নয়-ছয় হিসাব বুঝে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

পরে ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, হিমাগারের মালিক কাহালু থানার মুরইল এলাকার মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে আলহাজ্ব খলিলুর রহমান এবং ম্যানেজার আবু ওবায়দা ও রুবেল হোসেনের যোগসাজশে ৯ হাজার ১৫৮ বস্তা আলু ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করে দিয়েছেন।

আলুর মালিক ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন বলেন, হিমাগার ভাড়া নিয়ে আলুগুলো রেখেছিলাম। কিন্তু হিমাগারের মালিক ও ম্যানেজার আমাকে না জানিয়ে ৯ হাজার ১৫৮ বস্তা আলু বিক্রি করে দিয়েছেন। যার বাজারমূল্য প্রায় দেড় কেটি টাকার মতো। কিন্তু দীর্ঘদিনেও হিমাগারের মালিক আমাকে আলু বা টাকা বুঝিয়ে না দেয়ায় হতাগ্রস্থ হয়ে বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। এবিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে ওই দুটি কোল্ড স্টোরেজের মালিক খলিলুর রহমান বলেন, ভুলক্রমে তার আলুগুলো বিক্রয় হয়ে গেছে। বিক্রয় করা আলুর টাকা পরিশোধ করা হবে।

এবিষয়ে বগুড়ার শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মৌখিক অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা জানা গেছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে ওই হিমাগারের মালিক আরো বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসায়ী ও সাধারণ কৃষকদের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন।