ধুনটে আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে বন্যা কবলিত মানুষেরা

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধিতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে বন্যা কবলিত মানুষেরা। আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে এই উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বন্যা কবলিত বাঁধের পূর্ব পাড়ের ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

গ্রামগুলো হলো- ভান্ডারবাড়ী, কৈয়াগাড়ী, শিমুলবাড়ী, রাধানগর, বানিয়াজান ও শহড়াবাড়ী। এসব গ্রামের অনেক পরিবারের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, আবার অনেক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছে। এসব পরিবারের বয়স্ক ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

বন্যা কবলিত শিমুলবাড়ী গ্রামে গিয়ে দেয়া যায়, এলাকার স্বেচ্ছাসেবী তরুণ যুবকেরা পানিবন্দি পরিবারগুলোকে মালামালসহ নৌকাযোগে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিচ্ছিলেন। তবে ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় বন্যা কবলিত পরিবারগুলোকে উদ্ধার করতে অনেটাই বেগ পেতে হয় স্বেচ্ছাসেবীদের।

স্বেচ্ছাসেবক ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন বলেন, বন্যায় ৬টি গ্রামের প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাই এসব পরিবারকে উদ্ধার করে মামলাসহ নৌকাযোগে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বন্যায় যমুনার চরাঞ্চলের ৩০ হেক্টর জমির পাট, ৩ হেক্টর জমির আঁখ, আমন ধান, কাউন ও ধৈঞ্চা জাতের ফসল তলিয়ে গেছে।

এছাড়া বন্যার পানি প্রবেশ করায় ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের কৈয়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহড়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে গত ৪দিন ধরে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, সরকারিভাবে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। বুধবার (২২ জুন) বন্যা কবলিত এলাকায় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের উপস্থিতিতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। এছাড়া বন্যা কবলিত মানুষদের আশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।