ধুনটে কাঁদা ও পাথর খাওয়া মানুষের আবির্ভাব !

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় হাঠাৎ করেই আবির্ভাব ঘটেছে কাঁদা মাটি ও পাথর খাওয়া এক অলৌকিক মানুষের।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে তাকে দেখা যায় ধুনট ফলপট্টি তিন মাথা মোড়ের রাস্তা পাশে বসে নর্দমার কাঁদা মাটি খাচ্ছেন। তিনি ডান হাত দিয়ে কয়েক মুঠো কাঁদা মাটি গিলে খেয়ে ফেলেন।

এসময় তার এই অলৌকিক দৃশ্য দেখে মুহুর্তেই পথচারীদের ভীড় জমে যায়। কয়েক মুঠো কাঁদা খাওয়ার পর স্থানীয় এক যুবক দোকান থেকে পানি এনে দিলে তখন তিনি হাত ও মুখ ধুয়ে ফেলেন।

তবে অলৌকিক এই মানুষটি শুধু কাঁদা মাটিই খেয়ে থাকেন না, সঙ্গে রাস্তার পাথরও খেয়ে থাকেন। প্রায় ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ময়মনসিংহ এলাকার বাসিন্দা বলে জানান। তিনি ছোট বেলা থেকেই এই কাঁদা ও পাথর খেয়ে আসছেন বলে দাবি করেছেন। তবে তিনি স্বাভাবিক মানুষ হলেও নিজেকে পাগল বাবা নামেই পরিচয় দেন।

ধুনট জিরোপয়েন্ট এলাকার সিএনজির চেইন মাস্টার আল-আমিন বলেন, হঠাৎ করেই এই পাগল কয়েক ঘন্টার জন্য এসেছিল। তিনি রাস্তার পাশে বসে কাঁদা মাটি ও পাথর খেয়েছেন। তার এই দৃশ্য শত শত লোকজন দেখেছে। তবে অনেকেই তাকে টাকা পয়সা দিতে চাইলে তিনি কোন টাকাই নেননি।

ধুনট হুকুমআলী বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর জানান, ওই ব্যক্তির সাথে তার পূর্ব পরিচয় রয়েছে। তিনি সবার সাথে কথা বলেন না। তিনি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। তিনি বিভিন্ন স্থানে পাগল বেশে ঘুরে বেড়ান। ক্ষুধা লাগলে তিনি কাঁদা ও পাথর খেয়ে থাকেন। এর বাইরে তিনি শুধু সিগারেট ও চা পান করেন। বিকেলেই তিনি ধুনট থেকে চলে গেছেন।

তবে এ ব্যাপারে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন মেডিকেল অফিসার বলেন, একজন মানুষের পক্ষে কাঁদা ও পাথর খেয়ে হজম করা সম্ভব নয়। এসব খেলে শরীরে অবশ্যই ক্ষতি হবে। তাই ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া কিছুই বলা সম্ভব নয়।
ধুনটে কাঁদা ও পাথর খাওয়া মানুষের আবির্ভাব !