ধুনটে অর্ধশত পয়েন্টে জমজমাট জুয়ার আসর!

‘জুয়ার টাকা জোগাড় করতে বাড়ছে, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা’ ‘কতিপয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও নেতারা এর নেপথ্যে জড়িত বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা’

ধুনটের অর্ধশত পয়েন্টে জমজমাট জুয়ার আসর!

ইমরান হোসেন ইমন: অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় অর্ধশত পয়েন্টেই চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে রীতিমতো বেড়েই চলেছে চুরি, ডাকাতি ও ছিতাইয়ের মতো ঘটনা।

এমনকি গত কয়েক মাস আগে জুয়া পরিচালনা নিয়ে বেড়েরবাড়ি গ্রামে হিটুল নামে এক জুয়াড়ি হত্যার ঘটনাও ঘটেছে এই উপজেলায়। কিন্তু তারপরও থেমে নেই জুয়া ব্যবসায়ীরা।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, ধুনট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত গ্রামেই চলছে জুয়ার আসর। তবে শুধু ইউনিয়নের গ্রামগুলোতেই কেন, ধুনট বাজারেই চলছে রাত-দিন জুয়ার আসর।

এসব জুয়ার আসরগুলোর মধ্যে ধুনট বাজারের বাসষ্ট্যান্ড এলাকাতেই রয়েছে পাশাপাশি দুটি জুয়ার পয়েন্ট। এছাড়া ধুনট সিনেমা হল পট্টিতেও রয়েছে আরো একটি পয়েন্ট। এসব জুয়ার পয়েন্টগুলোর নেতৃত্ব দেন কতিপয় কয়েক নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আর একারনেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেন দেখেও দেখেন না। এ জন্য তারা অবশ্য নিয়মিত বকশিসও পেয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন জুয়াড়িরা।

এছাড়াও ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ধুনট সদরের বেলকুচি, নলডাঙ্গা, চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের ফড়িংহাটা, বিশ^হরিগাছা, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের বড়বিলা, মরিচতলা, ভান্ডারবাড়ীর রঘুনাথপুর, ভান্ডারবাড়ী, গোপালনগরের মহিশুরা, খটিয়ামারী, মথুরাপুরের খাদুলী জজের বাজার, মথুরাপুর ধেরুয়াহাটি, শাখাটিয়া ইট ভাটা, নিমগাছী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি, কাতলাহার বাজার, সোনাহাটা বাজার, চিকাশী ইউনিয়নের জোড়গাছা, চিকাশী, কালেরপাড়া ইউনিয়নের আরকাটিয়াসহ প্রায় অর্ধশত পয়েন্টে চলে জুয়ার আসর।

আরো পড়ুন- বগুড়ায় পাথর ভর্তি ট্রাক থেকে ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা জানান, জুয়া এখন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। অনেক পরিবার জুয়া খেলা নিঃস্ব হচ্ছে। আর এসব জুয়ার নেতৃেত্ব স্থানীয় কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও নেতারাও জড়িত রয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

নাদু মিয়া নামে এক জুয়াড়ি জানায়, আগের দিনে মেলায় জুয়া চলতো। কিন্তু আর সেই রকম অবস্থা নেই। তাই বিভিন্ন বাড়ি ভাড়া নিয়েই এই জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

জুয়াড়ি নাদু আরো জানান, আগে ডাব্বু জুয়া চলতো। কিন্তু এখন তাসসহ বিভিন্ন খেলা নেমেছে। পাশ^বর্তী উপজেলা থেকে ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিরাই জুয়া খেলতে আসেন। আর এজন্য পুলিশের দুই একজন কর্মকর্তার সঙ্গে সক্ষতাও রাখতে হয় তাদেরকে।

তবে ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, আমি নতুন এসেছি। তাই জুয়ার বিষয়ে কোন তথ্য থাকলে অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করা হবে।