ধুনটে যমুনার পানি বৃদ্ধিতে হুমকির মুখে স্পার : পানিবন্দি শতাধিক পরিবার

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চল ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশের প্রায় শতাধিক পরিবার। এদিকে যমুনায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বানিয়াজান স্পার।

জানাগেছে, ২০০৩ সালে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াজান গ্রামে একটি স্পার নির্মাণ করে। স্পারটি নির্মানের কারনে দক্ষিণের প্রায় ২০/২২টি গ্রাম ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পায়।

কিন্তু গত ৭ আগস্ট ওই স্পাটির ২০ মিটার অংশ এবং ১০ আগস্ট আরো ৩০ মিটার অংশ ধ্বসে যায়। সংবাদ পেয়ে পানি উন্নয়নবোর্ড ঠিকাদার নিয়োগ করে বালু বস্তা ফেলেও স্পাটির মেরামত করতে পারেনি। ফলে বর্তমানের স্পারটি এখন দ্বিখন্ডিত অবস্থায় রয়েছে।
width="696"

ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জানান, যমুনার নদীর পানি বৃদ্ধিতে বানিয়াজান স্পারটি এখন হুমকির মুখে রয়েছে। পানি উন্নয়নবোর্ড স্পারটি রক্ষার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। যদি এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাহলে স্পারটি সম্পূর্ণ ধ্বসে গিয়ে ভাটিতে অবস্থিত প্রায় ২০/২২টি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

চুনিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ্ স্বপন জানায়, তার ইউনিয়নে গত দুই দিনে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধিতে বৈশাখী ও রাঁধানগর চর সহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশে উত্তর শহড়াবাড়ি, দক্ষিন শহড়াবাড়ি, শিমুলবাড়ি গ্রামের শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের ঘর-বাড়ির ভিতরেও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরেই নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।