ধুনটের যমুনা পাড়ে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা:
করোনাকালে টানা দুই বছর ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত ছিলো মানুষ। তাই দীর্ঘ বছর পর কোরবানীর ঈদ আনন্দে বগুড়ার ধুনট উপজেলার যমুনা পাড়ে মেতে উঠেছে কর্মজীবি ও শ্রমজীবি সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষেরা।

দূরদুরান্ত থেকে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার সহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে আসা দর্শণার্থীদের পদচারনায় বগুড়ার ধুনট উপজেলার বানিয়াজান স্পার যেন এক প্রাণের স্পন্দন ফিরে পায়।

সোমবার বিকালে ঈদের দ্বিতীয়দিন বানিয়াজান স্পারে গিয়ে দেখা যায়, দূরদূরান্ত থেকে হাজারো দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে যমুনার পাড়। আর একারনে যমুনার তীরে ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের মেলাও বসেছে। দর্শনার্থীদের পদচারনায় যেমন মুখরিত ছিল যমুনার পাড়, তেমনি কয়েক দিনের জন্য হলেও নতুন কর্মসংস্থান খুঁজে পেয়েছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষজন।

ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ আলী বলেন, দীর্ঘ বছর পর যমুনার পাড়ে দোকান দিয়েছি। বিক্রিও মোটামুটি ভালো। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে দূরদুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা যমুনায় আসলে এলাকায় নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

বগুড়া থেকে ধুনটের যমুনা পাড়ে ঘুরতে আসা আশিক-মিথিলা দম্পত্তি জানান, অনেক দিন পর পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। শহরের শ্বাসরুদ্ধকর জীবন-যাপন ছেড়ে যমুনায় ঘুরতে আসলে মনটা ভালো হয়ে যায়। এতে সন্তানদেরও মানুষিক বিকাশ ঘটে।

বানিয়াজান ঘাটের নৌকা চালক আব্দুর রহিম জানান, ঈদকে ঘিরে যমুনায় ঘুরতে আসা মানুষেরা নৌকায় ভ্রমণ করতে চান। তাই এখন নৌকা চালিয়ে ভালো রোজগার করছেন তিনি। তবে তিনি এই স্পটটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

তবে এব্যাপারে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ধুনট উপজেলার যমুনার তীরে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে এই এলাকার ভাঙ্গন কবলিত মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি সহ রাজস্ব খাতেও আয় করা সম্ভব। তাই এই বিষয়ে সরকারের কাছে একটি প্রস্তবনা পাঠানো হবে।

ভিডিও দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন-