ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
‘আমি মরার জন্য আমার স্ত্রী দায়ী, আমার বউকে আমি অনেক ভালবাসি’ একথাগুলো ঘরের মাটির মেঝেতে লিখে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে আবু রায়হান (২৪) নামে এক গার্মেন্টস কর্মী।

ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের সরোয়া গ্রামে।

ধুনটে স্ত্রীকে দায়ী করে চিরকুট লিখে স্বামীর আত্মহত্যা

সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে সংবাদ পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে।

নিহত আবু রায়হান ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, পাঁচথুপি নসরতপুর কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করে আবু রায়হান। কিন্তু দারিদ্রার কারনে লেখাপড়া বাদ দিয়ে জীবিকার তাগিদে কাজ নেয় ঢাকার হেমায়েতপুর এলাকার একটি গার্মেন্টস কোম্পানীতে। চাকরিতে যোগদানের কিছু দিন পরই গ্রামে ফিরে এসে পাশ^বর্তী জাঙ্গালপাড়া গ্রামের শাহীন হোসেনের মেয়ে স্বর্ণা খাতুনকে বিয়ে করে রায়হান।

বিয়ের কিছুদিন পর রায়হান তার স্ত্রীকেও একই কোম্পানীতে চাকরি নিয়ে দেয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ইয়াসিন নামে ১ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। রায়হান দম্পত্তি তাদেরকে সন্তানকে গ্রামে রেখে তারা দুজনই ঢাকায় চাকরি করতো। গত ৬ নভেম্বর রায়হান তার স্ত্রী স্বর্ণা খাতুনকে নিয়ে ধুনটের গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে।

ধুনটে স্ত্রীকে দায়ী করে চিরকুট লিখে স্বামীর আত্মহত্যা

রায়হানের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের স্ত্রী স্বর্ণা খাতুন ফোনে কার সাথে যেন কথা বলে। এবিষয়টি মাতব্বরদের জানালে স্বর্ণা খাতুন সবার সামনেই স্বীকার করে। এতে আমার ছেলে খুব কষ্ট পায়। সে তার বউকে অনেক ভালবাসতো।

একারনে সোমবার দুপুর ১টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে যে নিজের ঘরে তীরের সাথে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

ধুনট থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্ত্রীর ওপর অভিমান করে রায়হান আত্মহত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এব্যাপারে কোন অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ভিডিও সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন এবং চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন।