ধুনট পৌর এলাকার ড্রেন যেন এক মরণফাঁদ!

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকার নির্মাণাধীন ড্রেন যেন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। সেই মরণফাঁদে পড়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। রবিবার (২২) ধুনট পৌরসভার টিএনটি মোড় এলাকার নির্মানাধীন ড্রেনে পড়ে মোটরসাইকেল চালকসহ আরো দুই জন আহত হয়েছে। তবে দূর্ঘটনার পর পরই আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করায় তাদের নাম ও পরিচয় জানাযায়নি।

এরআগেও গত ৭ মার্চ এই ড্রেনের মরণফাঁদে একটি ট্রাক আটকে পড়ে চালক ও হেলপার আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও তো প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় অনেক দূর্ঘটনা। তবে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য রাস্তার পাশে খোঁড়াখুঁড়ি করে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উধাও হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

জানাগেছে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ধুনট পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের অফিসারপাড়া এলাকার প্রভাষক আমজাদ হোসেনের বাড়ি থেকে হলহলিয়া নদী পর্যন্ত ৩০০ মিটার ড্রেন নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি বগুড়ার রুনা এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে।

কিন্তু ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ধুনট পৌরসভার জনগুরুত্বপূর্ণ টিএনটি মোড় এলাকার পাকা রাস্তার একপাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য খোঁড়াখুড়ি করে মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ করেই উধাও হয়ে গেছে। একারনে গত ২ বছর ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতে প্রতিদিন লাখো মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ধুনট-সোনাহাটা-বগুড়া সড়কের সিএনজি চালক ফরহাদ মিয়া বলেন, ধুনট পৌর এলাকায় ড্রেনের জন্য খুঁড়ে রাখলেও কোন কাজ না করায় এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। যদি কোন কারনে যানবাহন উল্টে যায়, তাহলে মৃত্যু নিশ্চিত।

তবে এরআগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রুনা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার নজরুল ইসলাম করোনা ভাইরাসের অজুহাত দিয়ে বক্তব্য দিলেও, এবার তিনি জানান, অভ্যন্তরীন কারনে ড্রেনটি নির্মানে বিলম্ব হচ্ছে।

এবিষয়ে ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ বলেন, ওই ঠিকাদারকে একাধিকবার নোটিশ করা হলেও তিনি নির্মান কাজ শেষ করতে পারেনি। এবিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোন লাভ হচ্ছে না। তাই এই সড়কে মাঝেমধ্যেই দূর্ঘটনা ঘটছে।