ধুনট-শেরপুর সড়ক নির্মান কাজের গতি ফিরেছে

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
‘ধুনটে ধীর গতিতে সড়ক নির্মানে ভোগান্তি আরো চরমে’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে বগুড়ার ধুনট-শেরপুর সড়ক নির্মান কাজের গতি ফিরেছে। গত এক বছর আগে কার্যাদেশ পাওয়া সেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গত বৃহস্পতিবার থেকে সড়কটি নির্মান কাজ শুরু করেছে।

শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, ধুনট উপজেলার বেলকুচি সড়কের ইটভাটা এলাকা থেকে বেলকুচি পর্যন্ত সড়কটি নির্মান কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সড়কের বড় বড় গর্তে ইটের খোয়া দিয়ে ভরাট করে ওপরে পিচ ঢালাই করছিলো প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির পর সড়কটির নির্মান কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরে পেয়েছে সিরাজগঞ্জ-সোনামুখি-ধুনট-শেরপুর সড়কে চলাচলরত লাখো মানুষ।

জানাগছে, সরকার দেশের দক্ষিনাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ার ধুনট-শেরপুর বাইপাস সড়ক নির্মান করছে। ধুনট-শেরপুর সড়কের নির্মান কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন খুলনার বাগেরহাট জেলার মোজাহার আলী এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকারদার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে কার্যাদেশ পাওয়া এই ঠিকারদার প্রতিষ্ঠানটির কাজ চলছিল খুবই ধীর গতিতে।

এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গত ১৬, ১৭ ও ১৮ মে কয়েকটি অনলাইন, স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, দীর্ঘ বছর আগেই কাজিপুরের সোনামুখি থেকে ধুনট ও শেরপুর সড়কের সম্পূর্ণ কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানা-খন্দে পরিনত হয়েছে। একারনে জনগুরুত্বপূর্ণ এই বাইপাস সড়কটি দিয়ে দেশের দক্ষিনাঞ্চল ও উত্তরালঞ্চসহ লাখো মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি এই ভগ্নদশা সড়কটির মেরামত কাজ শুরু হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। সড়কটি মেরামত হলে লাখো মানুষ এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।

এব্যাপারে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের এমপি হাবিবর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী কোরবান আলী মিলন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি বর্ধিতকরণের জন্য নির্মান কাজ বিলম্ব হচ্ছিল। তাই এমপি স্যার জনগনের চলাচলের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা পর সড়কটি দ্রুত নির্মানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তারপরও অল্প সময়ের মধ্যে ধুনট-শেরপুর সড়কটি নির্মানের জন্য সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে এই সড়কটি নির্মান হলে দেশের দক্ষিনাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ লাঘব হবে এবং আর্তসামাজিক উন্নয়ন হবে।