শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়ার শেরপুরে ওয়ারেন্টের আসামী ধরতে যাওয়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে আসামী পক্ষের লোকজন। হামলায় শেরপুর থানার এএসআই মুকিমউজ্জামান ও হাবিবুর রহমান আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে শেরপুর উপজেলার খানপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এবিষয়ে শেরপুর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত লাল মিয়া জানান, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের বগুড়ার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, খানপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আহম্মদ আলী (৬০), মোহর আলী (৫৮), মোহাম্মদ আলী (৫০), আহাম্মদ আলীর স্ত্রী বুলি খাতুন (৩৮), মেয়ে আকলিমা খাতুন (১৯) ও মোহাম্মাদ্দ আলীর ছেলে রেজাউল করিম (২০)। এছাড়া এই মামলার অপর অসামী মোহর আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ (২৮) পলাতক রয়েছে।
থানাসুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেরপুর থানার এএসআই মুকিম উজ্জামান ও হাবিবুর রহমান আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানামূলে খানপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আহাম্মদ আলী (৬০) কে গ্রেফতার করে।
এ সময় আসামীর চিৎকারে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহর আলী, মোহাম্মদ আলী, আব্দুর রশিদ, বুলি খাতুন, আকলিমা খাতুন, রেজাউলসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন আসামী হাতে লাঠি শোডা নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে দুই পুলিশকে মারপিট করে গ্রেফতারকৃত আসামী আহাম্মদ আলীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা গুরুতর ও রক্তাক্ত জখম হয়।
পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মহির উদ্দিনসহ কয়েকজন এবং থানার এসআই আব্দুস সালামের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে সরকারি কাজে বাধা দেয়া ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করে থানায় আনে। পরে আহত পুলিশ মুকিমউজ্জামান ও হাবিবুর রহমান স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে আহত পুলিশের এএসআই হাবিবর রহমান বলেন, আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে খানপুর গ্রামে আসামী মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আহাম্মদ আলী (৬০) কে গ্রেফতার করতে চাইলে তিনি প্রথমে জামিনে আছেন মর্মে জানান। তবে কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায় তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টাকালে পরিবারের মহিলা সদস্যরা আমাদের হ্যান্ডকাপ ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় এবং চিৎকার দিয়ে কয়েকজন ডেকে হামলা চালায়।