প্রতিমা ভাংচুর ও হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় পুজা উদযাপন পরিষদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা :
শারদীয় দুর্গাপূজায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার প্রতিবাদে বগুড়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে সাতমাথায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বগুড়ার ১২টি উপজেলার প্রায় এক হাজার সনাতন ধর্মালম্বী অংশ নেন।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি দিলীপ কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়, সহ-সভাপতি স্বপন চক্রবর্তী, সাবেক সভাপতি অমৃত লাল প্রমুখ সহ অন্যান্য উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার বীজ বপন করেছিলেন। যেটা এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান এসব পরিচয়ের থেকেও আমাদের বড় পরিচয় হচ্ছে আমরা মানুষ। আমরা সনাতনী ধর্মাবলম্বী যারা আছি তারা ১৯৪৭ এর দেশ ভাগের সময় দেশ ত্যাগ করিনি, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও দেশ ছেড়ে যাইনি। তার অর্থ এই যে আমরা এই দেশেই থাকতে চাই। তাহলে কেন আমাদের সঙ্গে এমনটা হচ্ছে। কেনই বা আমাদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বক্তারা, বগুড়ার প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, বগুড়ায় প্রতিটি পুজো মন্ডপে কঠোর নিরাপত্তা সহ আমাদের সাথে যোগাযোগ করে বলেছেন কোথাও কোন সমস্যা আছে কিনা।

বক্তারা আরো বলেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির, দোকান ও বাসাবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে সারা বাংলাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

তারা আরও বলেন, ২০০১ সালের পর অনেকবার সংখ্যা লঘুদের উপর হামলা এবং নির্যাতন হয়েছে। তখন এ ভাবে প্রতিবাদ করতে পারিনি। এখন গনতন্ত্র আছে বলেই রাজপথে প্রতিবাদ করতে পারছি।

এর পাশাপাশি বক্তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের প্রচলিত আইনে শাস্তির দাবি জানান। এসময় সচেতন দেশবাসীকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে এসে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হওয়ার আহ্বানও জানান তারা।