নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে আহত সেই মেডিকেল শিক্ষার্থী ১৩ দিন পর চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মেহেরাজ হোসেন ফাহিম বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং তিনি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের বাসিন্দা।
জানাগেছে, গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মেহেরাজ হোসেন ফাহিম বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ২ নাম্বার গেটের সামনে ফরিদের দোকানে ভাজা পোড়া খেতে যান।
এসময় আলুর চপে ময়লা থাকা নিয়ে ফরিদের সাথে ফাহিমের বাক বিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ফরিদের ছেলে শাকিল তার হাতে থাকা পেঁয়াজ কাটার ছুরি দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করেন। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের আশ্বাসে সড়ক ছাড়েন তারা। পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করে।
আরো পড়ুন- বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের উপর পদবঞ্চিতদের হামলা, আহত ৭
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বলেন, ‘ফাহিমের পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তার পেটের ভিতরে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ২৮ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় তার মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, প্রধান দুই আসামি বাবা-ছেলেকে ঘটনার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা এখনও জেলহাজতে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা হত্যা মামলায় পরিবর্তিত হবে।