বগুড়ার গাবতলীর সুখদহ নদীতে একটি ব্রিজের অভাবে হাজারো মানুষের দূর্ভোগ

রাকিব মাহমুদ ডাবলু, গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার সুখদহ নদীতে একটি ব্রিজের অভাবে দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এলাকাবাসী বিকল্প পথ হিসাবে সেখানে কাঠের ব্রিজ তৈরি করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে।

জানাযায়, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের বুরুজ পূর্বপাড়া এলাকার পাশ্ববর্তী সারিয়াকান্দী উপজেলার নারচি গ্রামের পশ্চিমে অবস্থিত স্থানীয় সুখদহ নদী বয়ে গেছে।

এই নদী পারাপার হয়ে প্রতিদিন নারচি ও বুরুজ সহ আশপাশ গ্রামের কয়েক হাজার লোক মাঠে ও শহরে আসা যাওয়া করে। ৬৫ মিটারের একটি ঢালাই ব্রিজের অভাবে স্থানীয় লোকজন সেখানে কাঠের ব্রিজ নির্মান করেছেন। কাঠের ব্রিজটির পূর্বপাশে সারিয়াকান্দী উপজেলা থেকে একটি পিচঢালা পাকা রাস্তা এসে সংযুক্ত হয়েছে।

নদীতে ঢালাই ব্রিজ না থাকায় রিকশা ভ্যান ও যন্ত্র চালিত কোন যানবাহন বা মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হয় না।

এছাড়াও বুরুজ গ্রামের কৃষকের কয়েক হাজার হেক্টর জমি রয়েছে ব্রিজের পূর্ব পাশে। হালচাষ করতে গরু ও পাওয়ার টিলার এবং উৎপাদিত শষ্য ও সামগ্রী আনা নেওয়া করা হয় ঝুঁকিপূর্ণ এই কাঠের ব্রিজর উপর দিয়েই। তাছাড়া বন্যার সময় কাঠের ব্রিজ তলিয়ে গিয়ে ফসলি জমি আবাদ করা প্রায়ই অসম্ভব হয়। যে কারনে স্থানীয় লোকজনদের বিকল্প পথ দিয়ে ঘুরে আসতে সয়ম লাগে প্রায় ২ ঘন্টা।

কোন রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার সময় রোগীর আত্নীয় স্বজনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ফলে ১০ মিনিটের স্থলে ঘুরে আসতে সময় লাগে ২ ঘন্টা।

স্থানীয় কৃষক আনিছুট রহমান, ফুল মিয়া ও গৃহবধু রোমানা বেগম জানান, বুরুজ সুখদহ নদীতে একটি ছোট ব্রিজের অভাবে আমাদের এবং পাশ্ববর্তী সারিয়াকান্দী উপজেলার নারচি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ব্রিজ দিয়ে চলাচল ও মালামাল আনা নেয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বন্যার সময় স্কুল গামী ছাত্র ছাত্রী দের এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের উপর দিয়েই পার হয়ে স্কুল যেতে হয় হয়। ছোট ছেলে মেয়েরা এই ব্রিজ পার হতে গিয়ে অনেকে নদীর পানিতে পড়ে গিয়ে আহতও হয়েছে। এতে করে তাদের স্কুল যাওয়া হয় না।

খুব ঝুঁকিপূর্ণ এই কাঠের ব্রিজে রোলিং না থাকায় কোন মতে আমরা পায়ে হেটে ব্রিজ পারাপার হই। আমাদের এ ধরনের দূভোগ দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান এস এম লতিফুর বারি মিন্টু ও ইউপি সদস্য মোঃ মহিদুল ইসলাম টুনু ব্যক্তিগত উদ্দ্যাগে কয়েক বছর আগে এই কাঠের ব্রিজ তৈরি করে দেন।

স্থানীয় লোকজন আরো জানায়, নেপালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম লতিফুর বারি মিন্টু বিভিন্ন ভাবে জরিপ করলেও এবং সবাই তাদেরকে আশ্বাস দিলেও কেউ এখনো পদক্ষেপ গ্রহন করে নেই।

নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ বলেন, গাবতলী উপজেলার সুখদহ নদীর নারচী ব্রীজটি নির্মাণের জন্য এলজিইডি থেকে ১০০ মিটার প্রকল্প প্রস্তাবিত করা আছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ব্রীজটি নির্মাণ করা হবে।