বগুড়ায় চালু হচ্ছে ফেরি সার্ভিস

জাফরুল সাদিক, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি :

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও জামালপুরের মাদারগঞ্জের যমুনা নদীতে চালু হচ্ছে ফেরি সার্ভিস। এতে বগুড়ার সঙ্গে রাজধানীর দূরত্ব কমছে ৮০ কিলোমিটার।

আগামী ১২ আগস্ট যমুনা নদীতে এই ফেরি সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সাংসদ মির্জা আজমের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এ নৌ পথ চালু করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের সরকারি দল পরিদর্শন করে যাচাই-বাছাই করছেন। বর্ষা মৌসুমে এই পথে ফেরি সার্ভিস চালু হবে। প্রাথমিক ভাবে এই নৌপথে বিআইডাব্লিউটি এর কয়েকটি সীট্রাক চলাচল করবে। তা দিয়ে যাত্রী, মালামাল ও হালকা যানবাহন পারাপার করতে পারবে।

এই ফেরি চলাচলে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাদারগঞ্জ-মেলানদহ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম এমপি।

ফেরি চালুর জন্য ফেরিঘাট নির্মাণ, সড়ক যোগাযোগ স্থাপন, নাব্যতা ফেরাতে নদী খননসহ নদী সংস্কার ও উন্নয়নকাজে প্রকল্প গ্রহণের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল সারিয়াকান্দি ও মাদারগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল ফেরি চালুর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই করছেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন আইডব্লিউএমের পরামর্শক মো: মহিউদ্দীন পাটোয়ারি।

তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগে দূরত্ব কমাতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ হয়ে যমুনায় ফেরি সার্ভিস চালুর দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা চলছে।

প্রথমে বাহাদুরাবাদ-গাইবান্ধার বালাসি নৌপথে ফেরি চালুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। পরে সেই পরিকল্পনা আর এগোয়নি। এখন নতুন করে মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি ১৬ কিলোমিটার নৌপথে ফেরি চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পথ চালু হলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বগুড়ার সড়ক পথে ৮০ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে।

সময় বাঁচবে কয়েক ঘণ্টা। এ জন্য বগুড়া-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জামালপুর–মাদারগঞ্জ থেকে জামথল পর্যন্ত এলজিইডির ১২ ফুট সড়ক ২৪ ফুটে উন্নীত করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যমুনার এক পাড়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালীতলা ও মথুরাপাড়া ঘাট এবং অন্য পাড়ে জামালপুরের মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ নৌঘাটে নৌকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষ যাতায়াত করে।
ফেরি সার্ভিসটি চালু হলে দু’পাড়ের মানুষের অনেক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হবে। নৌকার জন্যা আর বসে থাকতে হবে না। ব্যবসা বাণিজ্য ও পন্য আমদানী রপ্তানীর জন্য এটি একটি প্রাণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে।