বগুড়ায় পানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ননদকে হত্যা !

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা :

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় পান ও জর্দার সঙ্গে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে ননদকে হত্যার অভিযোগে পপি বেগম (২২) নামে এক গৃহবধুকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকেলে গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে পুত্রবধুর বিষাক্ত পান খেয়ে শাশুড়ি বেঁচে গেলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ননদ। পরে পপি বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গাবতলী উপজেলার ধোড়া মধ্যপাড়ার মোজাম্মেল মণ্ডলের ছেলে আল আমিনের সঙ্গে বগুড়া সদরের বুজরুকবাড়িয়া কাজীপাড়ার জহুরুল ইসলামের মেয়ে পপি আকতারের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে আতিকা নামে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বউ ও শাশুড়ির মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে পপি বেগম শাশুড়ি রাশেদা বেগমকে (৫০) হত্যার উদ্দেশ্যে পান ও জর্দার মধ্যে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে দেন। পান খাওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে মেয়ে (ননদ) সখি বেগম (২৭) পরদিন বুধবার সকালে দেখতে আসেন। মাকে দেখতে আসলে সখি বেগমকেও গালিগালাজ করেন পপি। একপর্যায়ে ননদ সখি বেগমকেও পান ও জর্দার সঙ্গে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো খাওয়ায় পপি।

এদিকে পান খাওয়ার পর সখি বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার বিকেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ননদ সখি বেগম মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আল আমিন বাদী হয়ে শুক্রবার গাবতলী মডেল থানায় মামলা একটি দায়ের করেন।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পর আসামী পপি বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।