বগুড়ায় প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা

সাজু মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা

বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। আর মাত্র ক’দিন পরেই সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। পূজা শুরুর অনেক আগে থেকেই প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মন্ডপে দূর্গা পূজা উদ্যাপন করা হবে। সনাতন সম্প্রদায়ের দেবী দূর্গা এবার গজে আগমণ এবং নৌকায় গমণ করবেন।

এবছর শিবগঞ্জ উপজেলায় ৬৩টি পূজা মন্ডপে পূঁজা অর্চনা হবে। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি ইতোমধ্যে পূজা উদযাপনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে গত বছরে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে পূজা মন্ডপগুলোতে সাজসজ্জা তেমন ছিল না। এবছর শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে ব্যাপক সাজ সজ্জার মধ্যে দিয়ে এবং পূজামন্ডপে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পূঁজার কার্যক্রম করা হবে।

উপজেলার পূজা মন্ডপগুলো ঘুরে দেখে গেছে, মন্ডপগুলোতে উৎসবের ছোয়া লেগেছে। বিরামহীন ভাবে প্রতিমা তৈরীর কাজ করেছেন প্রতিমা শিল্পীরা। উপজেলার সাদুল্যাপুর গ্রামের মৃত বিনোদ বিহার অধিকারীর ছেলে হিরেন চন্দ্র অধিকারী প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন। ৫০ বছর ধরে এ পেশায় আছেন তিনি। তিনি ও তার ছেলে সুভ্রত অধিকারী তৈরী করেন প্রতিমা।

গত বছরে করোনা ভাইরাসের কারনে দূর্গা পূজায় তিনি প্রায় ৫টি প্রতিমার কাজ করেছিলেন। এবার তিনি আটটি মন্ডপ থেকে প্রতিমা তৈরীর অর্ডার পেয়েছেন। এই আট সেট প্রতিমা তৈরীর কাজে বেশ ব্যস্ত তিনি। তার ছেলেও তাকে এ কাজে সহযোগিতা করে আসছেন। দিনরাত কাজ করছেন তারা। আর কয়েকদিন পরেই শারদীয় দূর্গা পূজা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাকে সরবরাহ করতে হবে প্রতিমাগুলো।

সাদুল্যাপুর গ্রামের প্রতিমা শিল্পী শ্রী হিরেন চন্দ্র বলেন, হামরা খুব কষ্ট করে মাটির প্রতিমা বানাই। কি করমু আর অন্য কাম করবের পারি ন্যা, তাই এ পেশাকে আঁকড়ে ধরেই আছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা পূঁজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি রাম নারায়ণ কানু বলেন, এবছর পূজা মন্ডপগুলোতে সাজসজ্জা করা হবে, তবে পূজা মন্ডপগুলোতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়টি নজর দেওয়া হবে।