বগুড়ায় প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা, বগুড়া:
বগুড়ার শিবগঞ্জে এক কলেজছাত্রী ও তার প্রেমিক আধা ঘণ্টার ব্যবধানে নিজ নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকালে থানা পুলিশ ওই প্রেমিক-প্রেমিকার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাপসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

তারা হলো- শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের মাসিমপুর চালুঞ্জা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে আজমেরি খাতুন (১৯) ও পাশ^বর্ত্তী দামগারা কারিগরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে সবুজ মিয়া (২১)। আজমেরি খাতুন বগুড়ার নামুজা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী ছিলেন।

মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকবার আলী তালুকদার জানান, প্রায় এক মাস আগে পরিবারের সদস্যরা আজমেরিকে মোবাইল ফোনে ভিডিও কলের মাধ্যমে একই ইউনিয়নের খেওনি বিন্নাচাপড় গ্রামের বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে দেয়।

এ বিয়ে মানতে পারেনি আজমেরি। তিনি বলেন, ‘স্বামী বিদেশে অবস্থান করলেও আজমেরি তার শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত করতো বলে শুনেছি। তবে বিয়ের পরেও আজমেরি যে সবুজের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল সেটা হয়তো পরিবারের সদস্যরা জানতো না।’

বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আজমেরি খাতুনের সঙ্গে সবুজ মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আজমেরি পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল। আর সবুজ মিয়া সড়ক মেরামত কাজে নিয়োজিত একজন শ্রমিক ছিলেন। যে কারণে আজমেরির পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি।

ওসি আরো জানান, সোমবার রাতে আজমেরির সঙ্গে সবুজের কথা হয়। তখনই হয়তো তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমে আজমেরি তার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে রাত ১০টার দিকে সবুজ তার ঘরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রচণ্ড আবেগের কারণে তারা দু’জন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।