বগুড়ায় হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা: বগুড়া
বগুড়ার শাজাহানপুরে ছাগলে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে আব্দুল হানিফ (৪০) নামে এক অটোচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা বন্দর এলাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী অংশ নেন।

স্থানীয়রা জানান, মাদলা চাঁচাইতারা গ্রামের আবুল কাশেম নিজ বাড়ির সামনে ঘাসের চাষ করেন। মঙ্গলবার বিকেলে হানিফের ছাগল কিছু ঘাস খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে ছাগলটির মালিক হানিফের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন কাশেম। এ সময় হানিফের ছেলে জাকিরুলসহ আবুল কাশেমের দুই ছেলে মজনু ও মজিদও ছিলেন। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হানিফ ও তার ছেলে জাকিরুলকে মারধর শুরু করেন কাশেমসহ তার ছেলেরা। এর মধ্যেই বাবা-ছেলেকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন তারা। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ঘটনায় বুধবার নিহতের স্ত্রী জরিনা বেগম বাদী হয়ে বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন । মামলায় একই গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লা ও তার দুই ছেলে মজনু ও আব্দুল মজিদসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে জান্নাতি নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিনই তাকে আটক করা হয়। মামলার পর গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানার এসআই শামীম আহমেদ।

শাজাহানপুর থানার এসআই শামীম আহমেদ জানান, হত্যা মামলায় এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে তুচ্ছ ঘটনায় এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম আতিক, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ, বগুড়া শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, নিহতের বাবা মোহাম্মদ খোকা প্রমাণিক, স্ত্রী জরিনা বেগম, মটর শ্রমিক নেতা আব্দুল খালেক, শ্রমিক নেতা আব্দুস সোবহান পুটু, আব্দুল হামিদ, স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ুব হোসেন সহ আরো অনেকে। সমাবেশে বক্তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।