বগুড়ায় যমুনা ব্যাংকের সাড়ে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাত মামলায় ৩ জনের জামিন না মঞ্জুর

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
জালিয়াতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারসহ দূর্নীতির মাধ্যম যমুনা ব্যাংক বগুড়া শাখা থেকে ১৫ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়েরকৃত মামলায় ৩ আসামির জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেছে আদালত। এই মামলার স্বেচ্ছায় হাজির হওয়ায় অপর আসামি মেসার্স সাকিল ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটার মোঃ হামিদুর রহমান সুজার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

এই মামলায় জামিনের আবেদন না মঞ্জুরকৃত আসামি ৩ জন হলেন, যমুনা ব্যাংক বগুড়া শাখার সাবেক এভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক হাজতি আসামি মোঃ সাওগাত আরমান এবং আদালতে স্বেচ্ছায় হাজিরকৃত ওই ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) রেজাওয়ানুল হক ও আসামি মেসার্স অণব ট্রেডার্সের প্রোপাইটর মোমিনুল ইসলাম চৌধুরীর জামিন।

সেই সঙ্গে জামিনের আবেদন না মঞ্জুরকৃত ওই ২ আসামি মোঃ রেজাওয়ানুল হক ও আসামি মোঃ মোমিনুল ইসলাম চৌধুরীকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত। গত সোমবার বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এই মামলার ওই আসামিদের জামিনের আবেদন শুনানীশেষে ওই আদেশ দেন।

দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ায় তৎকালীন সহকারী পরিচালক তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম কর্তৃক দায়েরকৃত এই মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড বগুড়া শাখার সাবেক এভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ সাওগাত আরমান বগুড়া শাখায় কর্মরত থাকাকালে গত ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি হতে ২০২০ সালের গত ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে কতিপয় অফিসারের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ব্যাংকের হিসাব নম্বর ও বিভিন্ন হিসাব ধারীর মেয়াদী সহ বিভিন্ন নম্বর হতে দূর্নীতির মাধ্যমে ও অন্যান্য পদ্ধতিতে প্রতারণা ও জালিয়াতির এবং বিশ্বাস ভঙ্গ করে শাখা হতে ১৫ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩১ টাকা আত্মসাত করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে গত ২০২০ সালের ২৯ জুলাই গ্রেফতারকৃত আসামি যমুনা ব্যাংক বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক হাজতি সাওগাত আরমান ও ওই আসামী সহ ১০ আসামীকে অভিযুক্ত করে গত ২০২১ সালে ১৯ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।

মামলাটি পরিচালনা করেন দুদকের পিপি এড. আবুল কালাম আজাদ এবং আসামি পক্ষে এড. গোলাম ফারুক, এড. লুৎফর রহমান, নুরুস সালাম সাগর ও দেবাশীষ।