শখের বসে পাখি পালন শুরু করে এখন লাখ টাকা আয় ধুনটের খামারীদের

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
শখের বসে পাখি পালন শুরু করেছিলেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের আবু তাহের বাবু। বাড়িতে বসেই পাখি পালন করে এখন তিনি লাখ টাকা আয় করছেন।

প্রায় ১০ বছর আগে পাখির খামার গড়ে তোলা এই উদ্যোক্তা আবু তাহের বাবুর অনুপ্রেরনায় ধুনট উপজেলার প্রায় ৫০টিরও বেশি পাখির খামার গড়ে উঠেছে।

ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের পাখি খামারী আবু তাহের বাবু জানান, প্রথমে শখের বসে পাখি পালন শুরু করলেও এখন তিনি বাণিজ্যিকভাবে পাখি পালন শুরু করেছেন। তার খামারে প্রায় ৫ লাখ টাকার মতো পাখি রয়েছে। প্রতিমাসে তিনি প্রায় লাখ টাকার মতো পাখি বিক্রি করে থাকেন।

পাখি খামারী বাবু আরো জানান, তার খামার দেখে অনুপ্রানিত হয়ে প্রতিবেশি রিপন ঘোষ নামে আরেকজন পাখি পালন শুরু করেন। কিন্তু প্রথমে তার পাখি পালনের ঘর না থাকলেও কোন মতে পাখি পালন শুরু করে এখন তিনি লাখ টাকা আয় করছেন। তার খামারের আয় দিয়েই তিনি এখন পাকা বাড়ি নির্মান করছেন।

রাঙ্গামাটি গ্রামের পাখি খামারী আব্দুল মান্নান জানান, তার খামারে বাজারিকা, লাভ বার্ড, কোকাটিলসহ বিভিন্ন বিদেশী প্রজাতির পাখি রয়েছে। এইসব পাখি পালন করে প্রতি মাসে তার ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন হচ্ছে। খামারে এসে পাইকাররা পাখি কিনে নিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হয় না। তবে করোনার সময় চাহিদা কম থাকায় লোকশান হলেও এখন লাভের মুখ দেখতে চান এসব পাখি খামারীরা।

ধুনট সদরের পাখি খামারী তাপস বলেন, বিদেশী জাতের পাখি খামারে কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও অনেকেই লাভবান হয়েছেন, আবার অনেকেই ক্ষতি সম্মূক্ষিনও হয়েছেন। তবে সরকারিভাবে যদি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, তাহলে বেকার যুবকেরা বাড়িতে বসেই বাড়তি আয় করতে পারবে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, পাখি নিধন নয়, বরং লালন-পালনেই আনন্দ রয়েছে। তাই সৌখিনতা বা শখের বসেই অনেকে বাড়িতে পাখি পালন করে থাকেন। পাখি পালন করে অনেকেই এখন স্বাবলম্বি হচ্ছেন। তাই খামারীদের বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে।