শিবগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় ৭ দিনের ব্যবধানে ৫ ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারপিট

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি:
আগামী ১১ নভেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়া আসছে ততই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। প্রার্থীদের মধ্যে এমনই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে কোন মূল্যে তাদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতেই হবে।

এ নির্বাচন কে ঘিরে গত ৭দিনের ব্যবধানে ৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের প্রতীক নিয়ে গণসংযোগ করার সময় প্রতিপক্ষের হামলার স্বীকার হয়েছেন।

মাঝিহট্ট ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনিত চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর এর সমর্থিত কর্মী দ্বারা আহত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এসকেন্দার আলী সাহানা, আটমূল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের বিদ্রৌহী প্রার্থী বেলাল হোসেন এর সমর্থিত কর্মীদ্বারা আহত হন বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাফ্ফর হোসেন, বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রার্থী আলতাফ হোসেন এর সমর্থিত কর্মীদ্বারা আহত হন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান ও আহসান হাবীব।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বিকালে শিবগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল ওয়ারেছ আকন্দ আমতলী বন্দরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন।

এসব ইউনিয়নের সাধারণ ভোটাররা বলেন, এখনই যে মারপিট বা সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে জানিনা, ভোটের দিন কি হবে! আমরা ইতিপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ ধরনের সংঘাতের ঘটনা আমরা দেখিনি। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রতিটি ইউনিয়নে বহিরাগত যুবকরা মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউনে যোগ দিচ্ছে। বহিরাগতদের আনাগুনা বন্ধ না করা হলে আইনশৃঙ্খলা আরো অবনতি ঘটতে পারে। বহিরাগত ব্যক্তিদের কারণে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।

এ ব্যাপাওে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, মারপিটের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন দল বা কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী কোন সমস্যা সৃষ্টি করে তাহলে তাৎক্ষনিক তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, নাম্বার বিহীন মোটরসাইকেল ও বহিরাগত ব্যক্তিদের যাচাই বাছাই করার জন্য অভিযান চালানো হবে।