শেরপুরে ধান-চালের অবৈধ মজুদ, সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
অসাধু ব্যবসায়ীদের মজুদের কারণে দেশে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। তাই চালের কৃত্রিম সংকট প্রতিরোধে বগুড়ার শেরপুরে মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় দুইটি প্রতিষ্ঠানে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এদে মধ্যে শিনু এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজে ১ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন চাল ২ হাজার ১৪৬ মেট্রিক টন ধান আটক করে তিন দিনের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিনের নেতৃত্বে বুধবার (১ জুন) দিনব্যাপি এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন-এ-কাইয়ুম, থানা পুলিশ ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, অভিযানের শুরুতেই বেলা ১১ টায় ভ্রাম্যমান আদালত শেরপুর শহরের সকাল বাজার এলাকায় গৌরাঙ্গ ভান্ডারে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে লাইসেন্সের বিপরীতে ১০০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত চালের মজুত পাওয়া যায়। এ জন্য ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রদীপ সাহাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের জোয়ানপুর এলাকার শিনু এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজে অভিযানে যায় ভ্রাম্যমান আদালত। সেখানে ১ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার ১৪৬ মেট্রিক টন ধানের মজুত পাওয়ায় শিনু এগ্রো ফুড ইন্ড্রাস্ট্রিজের স্বত্তাধিকারী শফিকুল ইসলাম শিরুকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে চালগুলি ছিল এসিআই ফুডস লিমিটেডের লেবেল যুক্ত নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা। এগুলো গত মার্চ মাস থেকে মজুদ অবস্থায় আছে বলে স্বীকার করেন মিল কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন বলেন, আমরা এখানে প্রচুর পরিমাণে চাল ও ধানের মজুদ পেয়েছি। এক্ষেত্রে আইন ভঙ্গকরায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৬ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে ও আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রশাসনের তত্বাবধানে চালগুলো বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়েছে। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।