নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিজরুল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে ১৮ বছর ধরে সভাপতির পদ আঁকড়ে ধরে নিয়োগ বাণিজ্যসহ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
অবৈধভাবে গঠিত মনগড়া ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন বিজরুল এলাকার হাফিজুর রহমান ও কায়জার আলমসহ আরও ৯জন ব্যক্তি। এরআগে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বগুড়া জেলা প্রশাসক এবং জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। ওই পদে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রেখে দীঘর্দিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। যে কারণে নিয়মিত মানসম্মত পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুল খালেকের যোগসাজসে সরকারি নিয়মনীতি না মেনে কতিপয় ব্যক্তিদের সহায়তায় গোপনে নির্বাচন ছাড়াই অবৈধভাবে মনগড়া ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২০০৫ সাল থেকে বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ আঁকড়ে ধরে রেখেছেন ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। তিনি নিয়োগ বাণিজ্যসহ কোটি টাকা লুটপাট ও আত্মসাত করেছেন। তার ভাই আব্দুস ছালাম বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি। সেই সুযোগে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ রাজনৈতিকভাবে তার অবস্থান ও আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে প্রতিষ্ঠানকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে নির্বাচনী তফসিল ও ভোটার তালিকা প্রকাশ না করেই সম্প্রতি গোপনে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজরুল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন, নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিয়মনীতি মেনেই ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে এবিষয়ে বক্তব্য নিতে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: হুমায়ুন কবির বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।