শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন টিটুর বিরুদ্ধে আরএমপি-৩ প্রকল্পের আওতায় রাস্তায় মাটি কাটার কাজে নারী শ্রমিক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কয়েকজন নারী গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, একই ইউনিয়নের মোছাঃ এমিলা বেগম, মনোয়ারা বেগম, মমেনা বেগম, আছিরন বেগম ও মনোয়ারা বেগম ওই প্রকল্পের শ্রমিক নিয়োগ না পেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগকারীরা জানান, পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের মাধ্যমে গ্রামীণ ক্ষতিগ্রস্থ পাকা সড়কে মাটি ভরাট করনের জন্য আরএমপি-৩ প্রকল্পের অধীনে ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নে ১০ জন নারী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া জন্য আবেদন চাওয়া হয়। সেই মোতাবেক ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার আশায় মোছাঃ এমিলা বেগম, মনোয়ারা বেগম, মমেনা বেগম, আছিরন বেগম ও মনোয়ারা বেগম আবেদন করেন।
আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় লটারী করা হয়। লটারীতে মোছাঃ এমিলা বেগম, মনোয়ারা বেগম, মমেনা বেগম, আছিরন বেগম ও মনোয়ারা বেগম সহ ১০ জনের নাম উঠে। অভিযোগ রয়েছে, লটারীতে যাদের নাম উঠেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সরকারী নিয়োগ বিধি অমান্য করে দেবীপুর গ্রামের সুলতানা, লক্ষিপুর গ্রামের রুবি, মধ্যরামচন্দ্রপুর গ্রামের শাহানার বেগম ও একই গ্রামের পারভিন বেগম সহ ১০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়ায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
নিয়োগ প্রাপ্ত নারী শ্রমিক সুলতানা, রুবি ও শাহানার জানান, আমরা কিভাবে নিয়োগ পেয়েছি তা আপনারা জানার কে? আপনারা উপজেলার অফিসারদের সাথে কথা বলেন।
তবে এবিষয়ে হোসেনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন টিটু বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ১০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এর বেশিকিছু আমি বলতে পারব না। কিভাবে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার জবাব উপজেলা প্রশাসন দেবে।
উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জাত হোসেন বলেন, এখানে রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে। তবে লটারীতে নাম উঠা নারী শ্রমিকদের বাদ দেওয়া চেয়ারম্যানের ঠিক হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, আরএমপি’র নারী শ্রমিক নিয়োগ কিভাবে হয়েছে তা তিনি জানেন না। তাবে এবিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।