শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
দুস্থ নারীদের উন্নয়নের জন্য ভিজিডি বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য সামাজিক নিরাপত্তার সর্ববৃহৎ কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে দুস্থ ও অসহায় শারীরিকভাবে সক্ষম নারীদের স্থায়ীত্ব উন্নয়নের জন্য খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি তাদের আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষে উন্নয়ন প্যাকেজ সেবার আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু এ কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে যখন মানুষ কর্মহীন হয়ে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছে তখন ইউপি চেয়ারম্যানের এহেন কর্মকান্ডে সচেতন মহলের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন টিটু দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডির চাল উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করে। উত্তোলনকৃত চাল দুস্থ ও অসহায় নারীদের মাঝে বিতরণ না করে ইউপি চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত গুদামেই রেখে দিয়েছেন।
দুস্থ ও অসহায় নারী জোহরা বেগম ও কল্পনা বেগম বলেন, করোনার কারণে সরকারের বিধিনিষেধ থাকায় আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। সরকার আমাদের খাদ্য সহায়তার জন্য ভিজিডির চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু সেই চাল দুস্থ ও অসহায় নারীদের মাঝে বিতরণ না করে চেয়ারম্যান তার কাছে রেখে দিয়েছেন। কর্ম না থাকায় গ্রামের অনেক মানুষ না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। অর্ধাহারে- অনাহারে আমাদের দিনকাটছে। দুস্থ ও অসহায় নারীদের কথা কেউ চিন্তা করেনা।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন টিটু বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে ভিজিডির চাল উত্তোলন করা হলেও করোনা ও বিভিন্ন জটিলতার কারণে তা বিতরণ করা হয়নি।
ভিজিডির চাল বিতরণ না করার বিষয়ে পলাশবাড়ী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ভিজিডির চাল ফেরত নিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান এমন ঘটনা এর আগে ঘটিয়েছেন।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নে জানুয়ারী থেকে আজ পর্যন্ত ভিজিডির কোন চাল বিতরণ করা হয়নি। তবে চেয়ারম্যানের কাছে থাকা ভিজিডির চাল ফেরত নিয়ে উপজেলার প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।