ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
রাস্তার কার্পেটিং আর নেই। ইটের খোয়াও তেমন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। পুরো পাকা রাস্তারই যেন মাটি বের হয়ে গেছে। বড় বড় গর্ত ও বৃষ্টিতে কাঁদাযুক্ত রাস্তা যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রায় এক যুগ ধরে রাস্তাটি সংস্কার না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে প্রায় ২৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে।
এমন চিত্র সিরাগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার পাইকপাড়া থেকে বগুড়ার ধুনট উপজেলা দিঘলকান্দি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পাকা রাস্তায়।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে এই রাস্তাটি প্রথম পাকা করণের উদ্যোগ নেয় ধুনট এলজিইডি। কিন্তু পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ ওই রাস্তাটি তাদের তত্বাবধায়নে নির্মানের জন্য কাজিপুরের পাইকপাড়া থেকে ভানুডাঙ্গা বাজার পর্যন্ত সীমানা নির্ধারণ করে কাজ শুরু করেন। কিন্তু রাস্তাটির নির্মান কাজ ধুনট উপজেলার দিঘলকান্দি পর্যন্তই থেমে যায়।
ধুনটের দিঘলকান্দি গ্রামের আজিজার রহমান ও খলিলুর রহমান জানান, এই রাস্তাটি দিয়ে ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী, দিঘলকান্দি, বাটিকাবাড়ী, গোপালনগর, মহিশুরা সহ প্রায় ২৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। রাস্তাটি দিয়ে বগুড়া জেলার মানুষজন চলাচল করলেও রাস্তাটি নির্মান করেছে সিরাজগঞ্জ সওজ কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু তারা এই রাস্তটি নির্মানের পর থেকে কোনদিন আর সংস্কার করেননি। একারনে পুরো রাস্তার কার্পেটিং ও ইটের খোয়া উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
চৌকিবাড়ী গ্রামের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তায় ভ্যান-বিকসা কোন রকমে চলাচল করলেও ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। একারনে কৃষি পণ্য পরিবহন সহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার বলেন, ধুনট উপজেলা সদরের সঙ্গে গোপালনগর ইউনিয়নবাসীর যাতায়াতের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রাস্তাটি পুননির্মিত হলে দক্ষিন ধুনটের মানুষের নাগরিক সেবা নিশ্চিত হবে।
এবিষয়ে ধুনট উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি ধুনট উপজেলার আওতাভুক্ত হলেও সিরাজগঞ্জ সওজ কর্তৃপক্ষ নির্মান করায় সেখানে বরাদ্দ দিয়ে এলজিইডির পক্ষে রাস্তা মেরামত করা সম্ভব নয়।
বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান জানান, রাস্তাটি ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুট প্রশস্তকরণের লক্ষ্যে টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হচ্ছে।