নাজমুস সাকিব আপেল, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার শেরপুরে চাঞ্চল্যকর অটো ভ্যান চালক এমরান হোসেন টুটুল হত্যার আসামী গ্রেফতার সহ মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ জুন) ঢাকা, বগুড়ার শেরপুর ও ধুনট এলাকায় অভিযান চালিয়ে শেরপুর থানার হত্যা মামলার তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বগুড়ার শেরপুর থানাধীন গুয়াগাছি গ্রামের প্রধান আসামী মোঃ সেলিম হোসেন (২৫) একই থানাধীন শরীফ সুঘাট এলাকার মোঃ সবুজ আলী শেখ (৩৬), ও ধুনট থানাধীন নাগেশ্বরগাতী গ্রামের মোঃ মাজেম আলী সরকার (৪৫)।
শনিবার (২৬ জুন) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন বিষয়ে বিস্তারিত জানান শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ১লা মে হত্যাকান্ড মামলার ভিকটিম এমরান হোসেন টুটুল এই মামলার প্রধান আসামী মোঃ সেলিম হোসেনের বন্ধু। ঘটনার দিন সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানাধীন সোনামুখি বাজারে যায় এবং ভিকটিম টুটুল এর সাথে ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে ৩০০ টাকায় ভিকটিমের ভ্যান ভাড়া করে টুটুলকে শেরপুর থানা এলাকায় নিয়ে আসে।
শেরপুর আসার পরে নেশা করার জন্য শেরপুর থানাধীন চকখানপুর ফাঁকা মাঠে নিয়ে যায়।
সেখানে যাওয়ার পরে ভিকটিম টুটুলকে গাম (আঠা) দিয়ে নেশা করায়। তারপর আসামী সেলিম টুটুল এর গলায় গামছা পেচিয়ে হত্যা করে টুটুলের অটোভ্যান নিয়ে গিয়ে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। আসামী সেলিম ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল এবং সে একাধিক মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রধান আসামী মোঃ সেলিম হোসেনকে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করার পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, অটোভ্যানটি সে নিজে সবুজ আলী শেখ এর নিকটে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে।
সেই তথ্যের ভিত্তিতে আসামী সবুজ আলী শেখকে গ্রেফতার করা হলে সে জানায়, সে ওই অটোভ্যানটি মাজেম আলী সরকারের নিকট ১৩ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আসামী মাজেম আলীকে গ্রেফতার করে তার হেফাজত থেকে টুটুল এর অটোভ্যান উদ্ধার করা হয়।