ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে এক মাস ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সেই ধর্ষক মাসুদ রানাকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) ধুনট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ রানা ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের দেউড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
মামলাসূত্রে জানাগেছে, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই গোপালগর ইউনিয়নের দেউড়িয়া গ্রামের জনৈক এক কৃষকের মেয়ে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৫) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সিএনজিযোগে অপহরন করে নিয়ে যায় একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৬)।
এরপর ওই মেয়েটিকে ঢাকা এলাকার একটি ঘরে এক মাসেরও বেশি সময় আটকে রেখে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে মাসুদ রানা। তার একাজে সহযোগিতা করেন গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফজলুল হক বাবুসহ কয়েক সহযোগি।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১২ আগষ্ট ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক মাসুদ রানা ও গোপালনগর ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুসহ ৭ জনকে আসামি করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে থানায় মামলা দায়েরের পর ২০২০ সালের ২৪ আগষ্ট ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় ধর্ষক মাসুদ রানা ও তার সহযোগিরা। পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।
কিন্তু দীর্ঘদিনেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হক আসামীদের গ্রেফতার না করে উল্টো আসামীদেরকেই সহযোগিতা করেন এবং বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিও করেন।
এঘটনাটি জানাজানি হলে দায়িত্ব অবহেলার কারনে ধুনট থানার সেই সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হককে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
পরবর্তীতে আলোচিত এই ধর্ষণ মামলাটির দায়িত্বভার গ্রহন করেন ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের দুই দিনের মধ্যেই এই মামলার দুই আসামীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেন।
এ বিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামীকে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আজ মঙ্গলবার বগুড়ার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।