সাজু মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দূরে আমতলীর পাকা রাস্তা পাড় হলেই সদর ইউনিয়নের ইউনিয়নের আলাদীপুর গ্রাম। গ্রামটিতে ঢুকলেই চোখে পড়বে এনএটিপি- প্রকল্পের গাভী পালন প্রর্দশনী। রহিমা আক্তার রত্না ওই খামারটির মালিক। তার খামারের পালিত ষাড় গরু (মন্ডল) বগুড়া জেলার সর্ব বৃহৎ গরু। তার খামারে পালিত মন্ডলের দাম হাকা হচ্ছে ১৩ লাখ টাকা। মন্ডলের ওজন দেড় টন।
তার খামারে প্রায় ২০টি গরু আছে। রত্নার খামারে তিনজন কর্মচারীও কাজ করেন। প্রত্যেককে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হয়। এখন রত্নার কোনো ব্যাংক লোনও নেই। গ্রামের বাড়ির পাশেই তিনি খামারটি স্থাপন করেছেন। তিনি স্থানীয় প্রাণি সম্পদ কর্মকতার কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতায় গরুগুলি মোটা তাজা করেছে। তাকে সহযোগিতা করেছেন তার স্বামী পল্লী প্রাণি চিকিৎসক আবু জাফর মন্ডল। তার সহযোগিতার কারণেই এতো বড় খামার প্রতিপালন করতে হিমশিম খেতে হয়নি।
প্রতি বছরই ঈদুল আযহার আগে নিজেদের খামারে পালন করা বিভিন্ন প্রজাতির ষাড় বিক্রি করে ভালো আয় করে থাকেন। চলতি বছরে ঈদে বিক্রির জন্য বড় দুটি ষাড় গরু লালন পালন করছেন তিনি। তার অপর একটি ষাড়ের নাম সুন্দর। তার ওজন ১টন। তার দাম হাকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। বিগত কয়েক বছর ধরে নিজ খামারে পালন করা গরু বিক্রি করে তিনি এখন একজন সফল খামারী।
এবিষয়ে একজন সফল নারী খামরী রত্না জানান, আট বছর আগে শখের বসে গরু পালন শুরু করেছিলাম। এখন আমার খামারে ২৪ টি গরু আছে। আমি একজন সফল খামারী হতে চাই।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার জাফরিন রহমান জানান, খামারটি প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। তাই প্রতি নিয়মিত আমাদের ভ্যাটেনারী সার্জন খামার পরিদর্শন করে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। আমার জানামতে বগুড়া জেলায় এতো বড় ও বেশী ওজনের ষাড় গরু আর কোথাও নেই। তিনি ষাড়টি বিক্রয় নিয়ে সঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা অনলাইনের মাধ্যমে তার গরু বিক্রয়ের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি।