স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলার ছোট্ট একটি গ্রামের নাম চৌকিবাড়ী। ছোট্ট এই গ্রামটির নামে হয়েছে ৮নং চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের নামকরণও। তবে এই গ্রামের নামে পুরো ইউনিয়নের নামকরণ হলেও গ্রামবাসীদের ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। তাই স্থানীয় এলাকাবাসী জমি দান করেন রাস্তার নামে। সরকারী বরাদ্দে ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চান্দিয়ার গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার মাটির রাস্তা নির্মান করা হয়।
কিন্তু সম্প্রতি গ্রামবাসীদের যাতায়াতের একমাত্র এই রাস্তাটি কেটে দ্বি-খন্ডিত করা হয়েছে। এতে ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন কাজে যাওয়া মানুষজন ছাড়াও বিভিন্ন গন্তব্যে পৌছাতেও হয়রানী ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কয়েক গ্রামের শত শত মানুষকে।
সোমবার (১৯ জুলাই) সরেজমিন জানাযায়, ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চান্দিয়ার গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার মাটির রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু চান্দিয়ার গ্রামের সরকারী এই মাটির রাস্তাটি রাতের আঁধারে কেটে দ্বি-খন্ডিত করেছে কতিপয় কিছু ব্যক্তি। একারনে গত দুই দিন ধরে এই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতকারী শত শত মানুষকে ভোগান্তি ও দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে।
চৌকিবাড়ী গ্রামের মোমেনা খাতুন, ছুবি খাতুন ও অজি বেগম বলেন, চৌকিবাড়ী গ্রামের নামে পরিষদের নামকরন হলেও যাতায়াতের পাকা রাস্তা নেই। মাটির রাস্তায় এমনিতেই বৃষ্টি হলেই যাওয়া যায় না। তারপর আবার রাস্তাটি কেটে রেখেছে। সোমবার সরকারী চাল নিতে এক সঙ্গে ১০/১৫ নারী পরিষদে যাওয়ার জন্য রওনা দেই। কিন্তু রাস্তা কেটে দেওয়ার কারনে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে অন্য রাস্তা ঘুরে পরিষদে যেতে হয়েছে।
তবে চান্দিয়ার গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন জানান, রাস্তাটির দু’পাশে জমিজমাতে বর্ষকালে পানি জমে থাকে। একারনে সরকারীভাবে একটি কালভার্ট নির্মান করা হয়। কিন্তু পানি প্রবাহের কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা পুকুর খনন করায় সেই পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। একারনে স্থানীয় এক সাবেক চেয়ারম্যাননের হুকুমে চালাপাড়া গ্রামের কতিপয় কিছু ব্যক্তি সরকারী এই রাস্তাটি রাতের আধারে কেটে রেখেছেন। একারনে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী শত শত মানুষজনকে কষ্ট করে দূর দূরান্ত ঘুরে গন্তব্যে পৌছাতে হচ্ছে।
এবিষয়ে চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, কালভার্টের মুখ বন্ধ করে কেউ পানি প্রবাহ বন্ধ করলে অবশ্যই পরিষদ অথবা প্রশাসনকে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু সরকারী রাস্তা কেটে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করাটা অমানবিক। এতে জনসাধারনের ভোগান্তিরও সৃষ্টি করা হয়েছে। এবিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, সরকারী রাস্তা কেটে জনদূর্ভোগ সৃষ্টির বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাস্তব চিত্র ভিডিওতে দেখুন এবং চ্যানেলটিতে লাইক ও সাবক্রাইব করে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।